• ‘বাংলার বাড়ি’: টাকা পাঠানো চালু হোক মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে, নবান্নে জমা পড়ল অনুরোধ
    বর্তমান | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর কয়েক দিনের মধ্যেই বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়া শুরু করবে রাজ্য সরকার। টাকা পাবেন রাজ্যের ১২ লক্ষ প্রান্তিক মানুষ। প্রথম কিস্তিতেই রাজ্যের কোষাগার থেকে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি অনুদান পাঠানো হবে। দীর্ঘদিন কেন্দ্র বাংলার মানুষের এই ন্যায্য প্রাপ্য না দেওয়ায়, প্রান্তিক মানুষের মাথায় পাকা ছাদ নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকারই এই টাকা দেবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের নাম ‘বাংলার বাড়ি’ হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 


    যেহেতু মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক উদ্যোগেই বাংলার এতো সংখ্যক মানুষ পাকা বাড়ি পেতে চলেছেন, সেই কারণে তাঁর হাত দিয়েই সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়ার শুভারম্ভ চায় রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর। এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি-অনুরোধও জানানো হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। আগামী সপ্তাহের গোড়ার দিকে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে রাজ্যস্তরের এই অনুষ্ঠান হবে কলকাতাতেই। নবান্ন সভাঘরেও সেটি হতে পারে। যেখান থেকে এক ক্লিকেই উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে শেষ মুহুর্তের কাজ নিয়ে চূড়ান্ত ব্যস্ত প্রতিটি জেলা প্রশাসন। এদিন পঞ্চায়েত দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকরাও প্রত্যেক জেলার নোডাল অফিসারদের নিয়ে শেষ মুহূর্তের পর্যালোচনা বৈঠক সেরে ফেলেছেন। 


    অন্যদিকে, আবাস প্রকল্পের টাকা দেওয়ার আগে ইউডিআইএন যাচাইয়ের কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হল প্রতিটি জেলাকে। সম্ভাব্য উপভোক্তাদের আইডিআইএন যাচাইয়ের জন্য ডাকতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে এর কারণে কোনও ভাবেই উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো বিঘ্নিত হবে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তাঁদের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা পৌঁছে যাবে বলেই আশ্বস্ত করা হচ্ছে রাজ্যের তরফে। নির্দিষ্ট উপভোক্তা ছাড়া অন্য কোনও ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে টাকা চলে যাওয়ার ঘটনা এড়াতেই, ইউডিআইএন যাচাইয়ের অতিরিক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছিল রাজ্য। যার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল একেবারে পৃথক একটি পোর্টাল। যা ব্যবহার করে যাচাইয়ের কাজ চালাতে যথেষ্ট অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল জেলা প্রশাসনকে। এখন টাকা ছাড়ার ক্ষেত্রে এই ইউডিআইএন যাচাই একেবারেই বাধ্যতামূলক নয় বলেই রাজ্যের প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই 


    সূত্রের খবর। তবে বাকি কাজ চলবে স্বাভাবিক ছন্দেই। 
  • Link to this news (বর্তমান)