• শৈলেন মান্না সরণির উদ্বোধন মমতার, তৈরি হবে ট্রাম লাইব্রেরি, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টল
    বর্তমান | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: গত মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর সফরের আগে হাওড়ার ডুমুরজলা হেলিপ্যাডে দাঁড়িয়ে ড্রেনেজ ক্যানাল রোডের নাম পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তার নাম বিখ্যাত বাঙালি ফুটবলার শৈলেন মান্নার নামে নামাঙ্কিত করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। এদিন পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ফিরে শৈলেন মান্না সরণির উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাস্তার দু’পাশে সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টল বসানোরও নির্দেশ দেন এদিন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবমতো এখানেই তৈরি হবে শহরের প্রথম ট্রাম লাইব্রেরি।


    মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই গত মঙ্গল ও বুধবার শৈলেন মান্না সরণির দু’পাশ পরিষ্কার করে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের কাছে প্রয়াত ফুটবলারের নামাঙ্কিত একটি ফলক বসায় জেলা প্রশাসন। সুফল বাংলা সহ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বেশ কয়েকটি অস্থায়ী স্টলও বসানো হয়। এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ ডুমুরজলায় এসে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে পায়ে হেঁটেই মঞ্চে আসেন তিনি। রাস্তায় আসার পথে ক্রিকেট প্র্যাকটিসে মত্ত স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন। শৈলেন মান্নাকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তাঁর নামাঙ্কিত রাস্তার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলগুলি পরিদর্শন করেন। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, শুধু রাস্তার নামকরণ করাই নয়, ঢেলে সাজানো হবে আশপাশের এলাকাও। ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের বিপরীত লেনে ইছাপুরমুখী রাস্তা বরাবর যে ফাঁকা অংশ রয়েছে, সেখানেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিভিন্ন স্থায়ী স্টল তৈরি করা হবে। গোষ্ঠীর মহিলারা নিজেদের হাতে তৈরি খাবার, প্রসাধনী সামগ্রী, জামা-কাপড় সহ বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করতে পারবেন। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনকে এখানে একটি ট্রাম লাইব্রেরি তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। থাকবে সরকারি উদ্যোগে তৈরি আধুনিক রেস্তরাঁ। পরিবার নিয়ে ঘুরতে এলে যাতে শিশুরা খেলাধুলো করতে পারে, সেজন্য আলাদা করে একটি গেমিং এরিয়া তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজে দেখেছি, সুন্দর জায়গা এটি। একে কাজে লাগানো দরকার। তাই এই এলাকা কী করে সুসজ্জিত করা যায়, তার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শৈলেন মান্না সরণি বরাবর যে জায়গা জুড়ে সৌন্দর্যায়ন হতে চলেছে, সেটি মূলত কেএমডিএর অধীনে রয়েছে। তাই সামগ্রিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে একাধিক দপ্তরের সঙ্গে শীঘ্রই বৈঠকে বসতে চলেছে হাওড়া পুরসভা। পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো দ্রুত কাজ করা হবে। এমডিএ, পিডব্লুডির সঙ্গে আমরা বৈঠকে বসব। কোন দপ্তর কীভাবে কাজ করবে, সেখানেই রূপরেখা তৈরি হবে।’ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়িত হওয়ার পর শৈলেন মান্না সরণির এই এলাকা পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র হতে চলেছে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। 


    ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, ‘জায়গাটি দীর্ঘদিন ফাঁকা পড়ে থাকার কারণে বেআইনি পার্কিং করা হচ্ছিল। তবে এবার সরকারি উদ্যোগে নতুন করে সাজানো হলে খুব ভালো হবে।’
  • Link to this news (বর্তমান)