• ‘বাংলাদেশের জন্য কি প্রস্তুত হচ্ছে আমাদের সেনা?’ ময়দানে হেলিকপ্টারের মহড়া দেখে প্রশ্ন কৌতূহলী জনতার
    বর্তমান | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হেলিকপ্টারগুলো সব যাচ্ছে কোথায়? রবীন্দ্র সদন-ময়দানে মানুষ এখন রাস্তার দিকে তাকিয়ে মোটেও হাঁটছে না। আকাশে তাকিয়ে হাঁটছে। মাথার উপর উড়ছে হেলিকপ্টার। মনে হচ্ছে, একটু লাফাতে পারলেই বোধহয় ছোঁয়া যাবে। বিকট শব্দ কান ফাটিয়ে দিচ্ছে। তারপর জায়গা খুঁজে ময়দানেই গিয়ে দাঁড়াচ্ছে কপ্টারগুলো। ফিতে দিয়ে তৈরি হয়েছে বাউন্ডারি। তার মধ্যে হেলিপ্যাড। কেউ যাতে কাছে না আসতে পারে তার জন্য সেনার কমান্ডোরা আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে। তবুও অস্থায়ী রেলিংয়ের চারদিক ঘিরে দাঁড়িয়ে অজস্র মানুষ। হাতে মোবাইল। মুখে প্রশ্ন, ‘কেন উড়ছে এত কপ্টার?’ এক ব্যক্তি বললেন, ‘বাংলাদেশ যা বাড়াবাড়ি শুরু করেছে। সেই জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বোধ হয়।’ ছবি তুলতে তুলতে আর এক ব্যক্তি বললেন, ‘বুঝতে পারছি না। তবে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের জন্যই ট্রেনিং চলছে।’


    তবে মনে হওয়াই সার। যুদ্ধচিন্তার কালো মেঘ সরিয়ে ময়দানের চা বিক্রেতারা জানালেন, ‘শনিবার পর্যন্ত চলবে। বিজয় দিবসের রিহার্সাল চলছে। প্রতিবছরই হয়।’ প্রসঙ্গত ১৯৭১’এর মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দিবস পালন হয় ১৬ ডিসেম্বর। সে অনুষ্ঠানেরই মহড়া চলছে। তবে এবছর ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন? তাই হেলিকপ্টারের উড়ান নিয়ে জল্পনা পাখা মেলেছে। ‘প্রতিবছরই হয়’ শুনে যাঁরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি শুরুর কল্পনা করছিলেন তাঁরা বেশ হতাশ। তবে চোখের সামনে আস্ত হেলিকপ্টার দাঁড়িয়ে। তা উড়ছেও। সে সব দেখার উত্তেজনায় ফুটছে সবাই। এবার হেলিকপ্টার ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে সেলফি তোলার পালা। কেউ বলেন, ‘এইটুকুতেই কান ঝালাপালা করছে। যেসব দেশে যুদ্ধ হয়, একবার ভেবে দেখুন সেখানকার মানুষের কী অবস্থা!’ কেউ ততক্ষণে প্রায় বাউন্ডারির ভিতরে ঢুকে ছবি তুলতে গেলেন। সেনাকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে আটকালেন। উত্সাহ খুব বাচ্চাদের। তাদের একবার অনুমতি দিলেই দড়ি বাঁধা সীমানা টপকে ঢুকে কপ্টার প্রায় চালিয়ে দেয় দেয়। পরিবার সমেত ভিক্টোরিয়া ঘুরতে আসা অবিনাশ চতুর্বেদী বললেন, ‘দেখতে এসেছিলাম ভিক্টোরিয়া। যুদ্ধবিমান দেখলাম। এরকম সুযোগ তো হয় না। স্যার, খুব একসাইটেড লাগছে।’
  • Link to this news (বর্তমান)