জেএমবি জঙ্গির আর্জি খারিজ, তিনটি মামলাতেই পৃথক সাজা খাটার নির্দেশ
বর্তমান | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সুকান্ত বসু, কলকাতা: তিনটি পৃথক মামলার সাজা একই সঙ্গে চলার দাবি আদালতে জানিয়েও ব্যর্থ হল এক জেএমবি জঙ্গি। সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গির নাম ইজাজ আহমেদ ওরফে মতি ওরফে জিতু। মঙ্গলবার কলকাতার নগর দায়রা আদালত ওই জঙ্গির আর্জি খারিজ করে দেয়। বিচারক তার রায়ে পরিষ্কার জানিয়ে দেন, প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে থাকা ওই বন্দিকে তিনটি মামলায় পৃথকভাবে যে সাজা দেওয়া হয়েছে, সেই আদেশই বহাল থাকবে। আইনের বিধান অনুসারে সমস্ত বন্দিদের ক্ষেত্রে জেল কোড অনুযায়ী যা বিধান আছে, এই বন্দির ক্ষেত্রে সেই নিয়ম লাগু থাকবে। যদিও ইজাজের কৌঁসুলি বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টে যাবেন।
সরকারি কৌঁসুলি গণেশ মাইতি আদালতে জানান, শহরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ সহ একাধিক অপরাধে ২০২০ সালের তিনটি পৃথক মামলায় বিচার চলাকালে সে দোষ কবুল করে। ২০২২ সালে তাকে কলকাতার নগর দায়রার মুখ্য বিচারকের আদালত দোষী সাব্যস্ত করে তিনটি পৃথক মামলায় পাঁচ বছর করে কারদণ্ড ঘোষণা করে। অর্থাৎ সাজার মেয়াদ গিয়ে দাঁড়ায় ১৫ বছর। তার সঙ্গে ছিল বিভিন্ন ধারায় আর্থিক জরিমানাও। সম্প্রতি ওই জঙ্গি প্রেসিডেন্সি জেল সুপারের কাছে দাবি করে, তার সাজার মেয়াদ ১৫ বছর নয়, হিসেব অনুসারে পাঁচ বছর চলার কথা। কেন সে অতিরিক্ত সাজা খাটবে। তিনটি সাজা একই সঙ্গে চলার কথা। অর্থাৎ পাঁচ বছর সাজা খাটার পর তাকে যেন মুক্ত করা হয়। জেলের তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, তাদের করণীয় কিছু নেই। সে যেন আদালতের দ্বারস্থ হয়। এরপরই সম্প্রতি ওই জঙ্গি তার আইনজীবীর মাধ্যমে কলকাতা নগর দায়রা আদালতের মুখ্য বিচারকের এজলাসে এ নিয়ে আর্জি জানায়। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকে ওই বন্দির সাজার যাবতীয় রিপোর্ট নিয়ে কোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে জেল সুপার ওই বন্দির যাবতীয় রিপোর্ট নিয়ে কোর্টে হাজির হন। সেখানে তিনি তাঁর বক্তব্য পেশ করেন। সরকারি কৌঁসুলি বলেন, সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি যে দাবি করছে, তা ভিত্তিহীন। তাই এই আর্জি বাতিল করা হোক। অন্যদিকে, জঙ্গি ইজাজের আইনজীবী বলেন, যেহেতু একই আদালত এই সাজা দিয়েছে, তাই আমরা দাবি জানাচ্ছি, সমস্ত সাজাই যেন একই সঙ্গে চলে। তাতে ১৫ বছরের পরিবর্তে পাঁচ বছর হলেই আমার মক্কেল জেল থেকে বেরিয়ে যেতে পারে। আপাতত তা হচ্ছে না।