কাটোয়া, মঙ্গলকোটের দুই গ্রামে ৪দিনের নবান্ন উৎসব, আনন্দে মেতেছেন চাষিরা
বর্তমান | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, কাটোয়া: কয়েকমাস আগেই বৃষ্টিতে পাকা ধানের জমিতে জল জমে গিয়েছিল। এর জেরে কাটোয়া মহকুমার বহু চাষির ক্ষতি হয়েছিল। তবে এখন নতুন চালের পায়েসের গন্ধে সব দুঃখ ভুলে কাটোয়া মহকুমাজুড়ে নবান্ন উৎসব শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে কাটোয়ার পাঁচঘড়া ও মঙ্গলকোটের ভাল্যগ্রামে চারদিনের নবান্ন উৎসব শুরু হয়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকার থিমের ছোঁয়া আর রঙিন আলোকসজ্জায় পুজো মণ্ডপ সাজিয়ে তোলা হয়েছে। নবান্নই এই দুই গ্রামের মূল উৎসবে পরিণত হয়েছে।
মঙ্গলকোটের ভাল্যগ্রামে বৃহস্পতিবার থেকে চারদিনের নবান্ন উৎসব শুরু হয়েছে। গ্রামের বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রামে সতীপীঠ যোগাদ্যা ও ভাল্যগ্রামে সিংহবাহিনীর মূর্তি পুজো হয়। তাই এই গ্রামে দুর্গোৎসব হয় না। সেজন্য নবান্নে অন্নপূর্ণার আরাধনার সময়ই দুর্গাপুজোর মতো আনন্দে শামিল হন গ্রামের মানুষ। চারদিনের উৎসব ঘিরে পুরো গ্রাম রঙিন আলোয় সেজেছে। হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।কাটোয়ার পাঁচঘড়াতেও চারদিনের নবান্ন উৎসব ঘিরে বাসিন্দারা আনন্দে মেতেছেন। নতুন ধান ঘরে উঠছে। তার গন্ধে ভরপুর পুরো গ্রাম। পাঁচঘড়ার যুব সঙ্ঘের এবারের থিম উত্তরাখণ্ডের নরসিংহ মন্দির। ক্লাবের সম্পাদক বাবলু মণ্ডল বলেন, আমাদের বাজেট চার লক্ষ টাকা। এখানকার যুবরাজ সঙ্ঘও এবার থিমের মণ্ডপ গড়ে তুলেছে। চারদিন ধরে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছে। এই ক্লাবের বাজেট প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা।পাঁচঘড়া ও ভাল্যগ্রামে নবান্ন উৎসবে একসঙ্গে বসে পাত পেড়ে খাওয়াদাওয়া করেন গ্রামের মানুষ। সেইসঙ্গে গ্রামের নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পাঁচঘড়ায় নবান্ন উৎসবে সাতটি সর্বজনীন পুজো হয়। গ্রামের বাসিন্দা উৎপল দাস, মিতালি সামন্ত বলেন, আমাদের এলাকা কৃষিপ্রধান। আমরা প্রত্যেকেই কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। তাই প্রতিবছর নতুন ধান ওঠার আনন্দে আমরা নবান্ন উৎসব আয়োজন করি। -নিজস্ব চিত্র