বাঁশদহ বিলের পাড়ে শ্রমজীবীদের জন্য হলিডে হোম গড়তে উদ্যোগী মন্ত্রী
বর্তমান | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, কালনা: শীত পড়তেই পূর্বস্থলী-১ ব্লকের বাঁশদহ বিলে পরিযায়ী পাখির ঢল নেমেছে। তা দেখতে পর্যটকদের ভিড়ও উপচে পড়ছে। বিলের পাড়ে দু’টি গেস্ট হাউস আছে। এবার সেখানে শ্রমিকদের বিনামূল্যে থাকার জন্য হলি ডে হোম তৈরি করতে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে দেখা করলেন এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি জানান, মলয়বাবু হলি ডে হোম করার অনুমোদন দিয়েছেন। ২৫ ডিসেম্বর তার শিলান্যাস হবে।
পূর্বস্থলী-১ ব্লকের ৭০একর এলাকাজুড়ে বাঁশদহ বিল রয়েছে। এই বিস্তীর্ণ জলাশয় বাঁচাতে ও তাকে ঘিরে ইকো-ট্যুরিজম গড়ে তুলতে ২০০১ সাল থেকেই চেষ্টা করে চলেছেন এলাকার ভূমিপুত্র মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি জলাশয় ও চুনো মাছকে বাঁচাতে ‘খালবিল উৎসব’ শুরু করেন। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিলের কচুরিপানা সাফ করে মাছ চাষ ও চাষের জলের জোগান বাড়ায়। শীতের সময় বিলের জলে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা বাড়তে থাকে। তা দেখতে আসতে শুরু করেন পর্যটকরা। এরপর স্বপনবাবুর উদ্যোগে বিলের দু’দিকে গেস্ট হাউস তৈরি হয়েছে। বিলের পাড় সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
স্বপনবাবুর স্বপ্ন, শ্রমজীবী মানুষের বিনামূল্যে থাকার জন্য বিলের পাড়ে হলিডে হোম গড়া। সেই লক্ষ্যে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছে প্রস্তাব দেন। শ্রমদপ্তরের অধীন লেবার ওয়েলফেয়ার বোর্ড ইতিমধ্যে হলিডে হোমের অনুমোদন দিয়েছে। ইতিমধ্যে লেবার কমিশনের তরফে জায়গা পরিদর্শনও শেষ হয়েছে।
স্বপনবাবু বলেন, বাঁশদহ বিল ঘিরে ইকো-ট্যুজিমের স্বপ্ন দেখতাম। আজ জলে মাছ, প্রাকৃতিক শোভা, শীতে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখির কারণে এই জায়গা পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। গরিব শ্রমজীবী মানুষের জন্য হলি ডে হোম তৈরি করতে চাই। যেখানে শ্রমজীবীরা বিনামুল্যে থাকতে পারবেন। শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক তার অনুমোদন দিয়েছেন। আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। ২৫ ডিসেম্বর হলি ডে হোমের কাজের শিলান্যাসের দিন ঠিক করা হয়েছে।-নিজস্ব চিত্র