• ঝাড়গ্রাম মেডিক্যালে নিম্নমানের খাবার, চটে লাল বিধায়ক দুলাল মুর্মু
    বর্তমান | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে। রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যদের তরফে যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালের হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্য দুলাল মুর্মু পরিদর্শন আসেন। খাবার পরিবেশনের সময়ে ওয়ার্ডে যান। রোগীদের নিম্নমানের খাবার দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন।


    ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের তিনবেলা খাবার দেওয়া হয়। সকালে প্রাতরাশে থাকে দুধ, সিদ্ধ ডিম, সিঙ্গাপুরী কলা, স্যান্ডউইচ ও দশগ্ৰাম চিনি। দুপুরে ভাত, ডাল ও সব্জির সঙ্গে একদিন অন্তর মাছ ও মাংস দেওয়া হয়। রাতে চাপাটি, ভাত, ডাল, সব্জি ও ডিম দেওয়া হয়। দীর্ঘদিনের  অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের তিনবেলা বরাদ্দ অনুযায়ী খাবার দেওয়া হয় না। খাবারের মানও খারাপ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফেও অভিযোগ অস্বীকার করা হয়নি। বৃহস্পতিবার দুলালবাবু হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন। হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন। দুপুরে হাসপাতালের মহিলা বিভাগের সামনে খাবার দেওয়া হচ্ছিল। নিম্নমানের চালের ভাত, হলুদ ও মশলাহীন সব্জি, পাতলা ডাল ও গলে যাওয়া মাংস দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তিনি বলেন, রোগীকল্যাণ সমিতির জন প্রতিনিধি হিসেবে আজ হাসপাতাল পরিদর্শনে এসেছিলাম। হাসপাতালের প্রিন্সিপাল সুস্মিতা ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করেছি। নিজে দেখলাম রোগীদের পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার দেওয়া হচ্ছে না। যে ভাত দেওয়া হয়েছে সেটা খাওয়ার উপযুক্ত নয়। ডাল ও সব্জির অবস্থাও একইই। মাংস গলে গিয়েছে। হাসপাতালের দেওয়ালে খাবারের চার্ট টাঙানো আছে। সেখানে কত পরিমাণ খাবার দিতে হবে তার উল্লেখ আছে। হাসাপাতালে খাবার সরবরাহের দায়িত্বে থাকা সংস্থা নিয়ম মানছে না‌। এরকম চলতে পারে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হবে। হাসপাতালের এমএসপিও অনুরূপ পাখিরা বলেন, নিম্নমানের খাবার সরবরাহ নিয়ে আমাদের কাছে একাধিক অভিযোগ এসেছে। রাজ্যে স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে। মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি রীনা বৈঠা বলেন, তিনদিন ধরে ভর্তি আছি। কোনওদিন ভাত পরিমাণ মতো দেয়, কোনওদিন দেয় না। যা দেয় তাই খেতে হয়। হাসপাতালে খাবার সরবরাহকারী সংস্থার কর্তা সুভাষচন্দ্র দাস বলেন, হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির জন প্রতিনিধি খাবার নিয়ে একাধিক অভিযোগ করেছেন। উনি আমাদের ডেকে এদিন বিষয়টি জানতে পারতেন। হাসপাতাল ভর্তি এক একজন রোগীর তিনবেলা খাবারের জন্য  ৫৪ টাকা ৬০ পয়সা দেওয়া হয়। গত বারো বছর ধরে রেট বাড়েনি। আমাদের দিক থেকে বিষয়টি কিন্তু দেখা হচ্ছে না। 
  • Link to this news (বর্তমান)