হাতিমারি গ্রামীণ হাসপাতালে নতুন বছরে হবে মা ক্যান্টিন, পাঁচ টাকায় রোগীয় আত্মীয়রা পাবেন ভাত, ডিম
বর্তমান | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: মালদহের গাজোলের আদিবাসী অধ্যুষিত হাতিমারি গ্রামীণ হাসপাতালে মা ক্যান্টিন চালুর উদ্যোগ। সেখানে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ থেকে মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে ডিম-ভাত খেতে পারবেন রোগীর আত্মীয়রা। এনিয়ে সম্প্রতি ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ব্লক স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, চলতি সপ্তাহে এই হাসপাতাল চত্বরে ক্যান্টিন তৈরির জন্য জায়গা দেখা হয়েছে। গত ৯ ডিসেম্বর হাসপাতালে এনিয়ে বৈঠকও হয়। সেখানে হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান মানিক প্রসাদ, গাজোল ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অর্মিলা রাজবংশী, ব্লক স্বাস্থ্য এবং পুলিস আধিকারিকরা ছিলেন। তাঁরা এনিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। হাসপাতালে মা ক্যান্টিন চালুর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রোগীর আত্মীয়রা। গাজোল ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ইনজামামুল হক বলেন, রাজ্যের অন্য জায়গায় মা ক্যান্টিন যেভাবে চলছে, ঠিক সেভাবেই হাতিমারি হাসপাতালে চালু হবে। এনিয়ে যাবতীয় পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জায়গাও দেখা হয়েছে। ঠিক কোন জায়গায় হবে এখনও চূড়ান্ত হয়নি। যাঁরা ক্যান্টিনের দায়িত্ব নেবেন, এটা তাঁদের সিদ্ধান্ত। আমরা দ্রুত চালু করার চেষ্টা করছি। মালদহের মধ্যে সবথেকে বড় ব্লক গাজোল। গাজোল-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের একেবারেই প্রত্যন্ত এলাকায় এই গ্রামীণ হাসপাতাল। এই হাসপাতালের উপর গাজোলের আলমপুর, বৈরগাছি ১, বৈরগাছি ২, আদিনা, পাণ্ডয়া সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ নির্ভরশীল। অনেক সময় রোগীর জন্য তাঁর আত্মীয়দের হাসপাতালে থাকতে হয়। সবসময় বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। হাসপাতালের বাইরে খাবারের দোকানও তেমন নেই। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, হাসপাতালটি একেবারেই আদিবাসী এলাকায়। এখানে খাবার পাওয়া নিয়ে অসুবিধা হয়। মা কিচেন হলে কম খরচে পুষ্টিকর খাবার পাবেন রোগীর আত্মীয়রা। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান এবং গাজোল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বলেন, এই হাসপাতালে মা ক্যান্টিন চালু হলে অনেকের সুবিধা হবে।
(মা ক্যান্টিন তৈরির জন্য হাতিমারি গ্রামীন হাসপাতালে জায়গা পরিদর্শন করা হচ্ছে।-নিজস্ব চিত্র)