• ২০০০ আবেদনকারীর হদিশ নেই, যোগ্য উপভোক্তা ১৭ হাজার ৬৬ জন
    বর্তমান | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: চার ধাপে ছাঁকনি! তাতেই বাংলার বাড়ি প্রকল্পে শতাধিক উপভোক্তার সংখ্যা বৃদ্ধি শিলিগুড়িতে। প্রশাসন সূত্রে খবর, দু’সপ্তাহ আগে প্রকাশিত খসড়া তালিকায় যোগ্য উপভোক্তার সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৯৬২ জন। চারটি স্তরে ছাঁকনির পর চূড়ান্ত তালিকায় সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৬৬ জন। এখন উপভোক্তাদের মধ্যে প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে মহকুমায় প্রায় দু’হাজার আবেদনকারীর হদিশ মেলেনি। 


    প্রশাসনের আধিকারিকরা অবশ্য জানান, রাজ্য সরকারের নির্দেশমতো বাংলার বাড়ি প্রকল্পের চূড়ান্ত উপভোক্তা তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। খসড়ার নিরিখে চূড়ান্ত তালিকায় সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। সেই রিপোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। এবার তারা যা নির্দেশ দেবে সেমতো পদক্ষেপ হবে। 


    রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের সঙ্গে গত ২৭ নভেম্বর শিলিগুড়িতে আবাস প্রকল্পের খসড়া উপভোক্তা তালিকা প্রকাশ করে প্রশাসন। ত্রুটিমুক্ত চূড়ান্ত উপভোক্তা তালিকা প্রস্তুত করতে খসড়া তালিকা নিয়ে চারটি ধাপে ঝাড়াই-বাছাই করা হয়। খসড়া তালিকা নিয়ে এক সপ্তাহ গ্রামবাসীদের কাছ থেকে অভাব-অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। যা ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। এরপর ৪ ও ৫ ডিসেম্বর গ্রামসভা, ৯ ডিসেম্বর ব্লক কমিটি এবং ১১ ডিসেম্বর জেলা কমিটির মিটিং করার পর তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। 


    কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনার অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলায় গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের নিজেদের অর্থে ঘর দিতেই বাংলার বাড়ি প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য। প্রশাসন সূত্রে খবর, শিলিগুড়ি মহকুমার চারটি ব্লকে আবেদনকারীর সংখ্যা ২৪ হাজার ১৫৮। যার মধ্যে খসড়া উপভোক্তা তালিকায় যোগ্য বলে বিবেচিত হন ১৬ হাজার ৯৬২ জন। অযোগ্য ছিল ৫১৫৩ জন। চূড়ান্ত তালিকায় যোগ্য উপভোক্তার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৬৬। যা মোট আবেদনকারীর মধ্যে ৭১ শতাংশ।  


    এরবাইরে মহকুমায় নিষ্ক্রিয় আবেদনকারীর সংখ্যা ২০০৩। বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার সময় তাঁদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। গ্রামসভা, ব্লক ও জেলা কমিটির বৈঠকেও তাঁরা যোগাযোগ করেননি। এঁদের মধ্যে কেউ কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে রয়েছেন, কেউ মারা গিয়েছেন বলে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে। 


    প্রশাসন সূত্রে খবর, ফাঁসিদেওয়া ব্লকে খসড়া তালিকায় যোগ্য উপভোক্তা ছিল ৮০০৪। চূড়ান্ত তালিকায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০৪৮। খড়িবাড়িতে ৫০১৮ থেকে বেড়ে ৫০৫৯ এবং নকশালবাড়িতে ৩১৩২ থেকে বেড়ে ৩১৫২ হয়েছে। শুধুমাত্র মাটিগাড়ায় একজন উপভোক্তার সংখ্যা কমেছে। এখানে খসড়ায় ছিল ৮০৮ জন। চূড়ান্ত তালিকায় কমে হয় ৮০৭ জন। এই তালিকা ধরেই উপভোক্তাদের গৃহ নির্মাণের জন্য তিনটি কিস্তিতে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। মাটিগাড়ার বিডিও বিশ্বজিৎ দাস বলেন, এখন রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। - ফাইল চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)