পুরমন্ত্রী এ দিন নগরোন্নয়ন ভবনে বিধাননগরের ৪১টি ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, ভাঙা রাস্তা, গাড়ির অভাবে জঞ্জাল পড়ে থাকা-সহ নানা সমস্যা নিয়ে বহু দিন ধরে তৃণমূলের উচ্চতর নেতৃত্ব অভিযোগ পাচ্ছিলেন। অভিযোগ ছিল পুরপ্রতিনিধিদের একাংশের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়েও। মন্ত্রী বলেন, ‘‘একসঙ্গে কাজ করতে গেলে কখনও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। আমাদের দল তো বিজেপি নয়। সবাই সহকর্মী।’’ সূত্রের খবর, পরিষেবা নিয়ে অসন্তুষ্ট পুরমন্ত্রী পুরপ্রতিনিধিদের জানান, ঠিক মতো কাজ না হলে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার নির্দেশ উপরমহলের।
বৈঠকে ওঠে সল্টলেক-সহ বিধাননগরের ভাঙা রাস্তার প্রসঙ্গ। ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি মেয়র অনিতা মণ্ডল জানান, ইঞ্জিনিয়ার ও পর্যবেক্ষকের অভাবের সুযোগে ঠিকাদারদের একাংশ খারাপ রাস্তা করছেন। পুরমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার রাস্তার জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ইঞ্জিনিয়ারও বিধাননগরের জন্য বরাদ্দ করা হবে। তিনি জানান, দু’দিনের মধ্যেই জঞ্জাল সরাতে ডাম্পার নামানো হবে। জঞ্জাল ফেলতে নিউ টাউনের পাথরঘাটায় জায়গা হয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান।
সূত্রের খবর, এ দিন পুরমন্ত্রীর সামনেই পুরপ্রতিনিধি প্রসেনজিৎ নাগ ও চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্তের মধ্যে বৈঠক নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। তা থামিয়ে পুরমন্ত্রী জানান, অভিযোগ থাকলে দলকে জানাতে হবে। প্রসেনজিৎকেও চিঠি লিখতে বারণ করেন তিনি। উল্লেখ্য, বোর্ডের বৈঠক ডাকা নিয়ে মেয়র কৃষ্ণা ও চেয়ারম্যান সব্যসাচীকে চিঠি দেন প্রসেনজিৎ।