২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর রাত ১১টা নাগাদ ভূপতিনগরের নাড়ুয়াবিলা গ্রামে তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সেই বিস্ফোরণে রাজকুমার-সহ মৃত্যু হয় তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের। অভিযোগ ওঠে, তৃণমূলের বুথ সভাপতির বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। সেই ঘটনায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে। সেই তদন্তেই শুক্রবার কাঁথি থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মানবের বাড়িতে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা।
ভূপতিনগরে আদি বাড়ি হলেও এখন কাঁথিতেই সপরিবার থাকেন মানব। এনআইএ তদন্তের পর তিনি বলেন, ‘‘২০২২ সালে নাড়ুয়াবিলা গ্রামে বিস্ফোরণের ঘটনায় যে মামলা হয়েছিল, তার তদন্তেই আজ এনআইএ-র প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। আমি তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করেছি। ওঁরা বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি করেছেন। এর পর ওঁরা চলে গেলেন। আমার ওই ঘটনার সঙ্গে কোনও যোগ ছিল না। তবে আগামী দিনে তদন্তকারীরা আবার আসবেন কি না, সেটা ওঁরাই বলতে পারবেন।”
এনআইএ তদন্ত নিয়ে তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পীযূষ পণ্ডা বলেন, ‘‘কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনের মাত্র দু’দিন আগে মানব পড়ুয়ার বাড়িতে অভিযান চালানো হল। এতে তৃণমূলকে কোনও ভাবে দমানো যাবে না। মানব পড়ুয়া এই নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি নিজেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার আগে কেন্দ্রীয় সংস্থার এই অভিযান অত্যন্ত নিন্দনীয়।’’
যদিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা বিজেপি নেতা দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, “নাড়ুয়াবিলা বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। এই মামলায় এনআইএ অত্যন্ত ধীর গতিতে তদন্ত চালাচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা এখনও বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আজ এনআইএ সেই ঘটনার তদন্তের জন্য এক জনের বাড়িতে অভিযানে এসেছিল। এই তদন্ত দ্রুত শেষ করে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’’