হেরিটেজ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কলকাতার মেয়র দাবি করেন, নিয়ম না-মেনে অনেক ভবনকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছে। বৈজ্ঞানিক বা ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা মাথায় রাখা হয়নি। কিন্তু বর্তমানে বৈজ্ঞানিক ভাবে ঐতিহাসিক গুরুত্ব থাকলে তবেই সংশ্লিষ্ট ভবনকে হেরিটেজ হিসাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ফিরহাদ বলেন, ‘‘চা খেতে গিয়েছেন নেতাজি, বাম আমলে এ রকম বাড়িকেও হেরিটেজ করা হয়েছে। এখন রাজ্য হেরিটেজ কমিশন অনুমতি দিলে তবেই কোনও ভবনকে হেরিটেজ করা হবে। ‘আর্কিটেকচার ভ্যালু’ এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে ‘গ্রেড’ নির্বাচন করা হবে।”
কলকাতায় খাটাল সমস্যা নিয়েও মন্তব্য করেছেন ফিরহাদ। বস্তুত, আনন্দপুর, কাশীপুর, উল্টোডাঙা, বেহালা, তপসিয়া, তিলজলা প্রভৃতি এলাকায় খাটালের সমস্যা নিয়ে দীর্ঘ দিনের অভিযোগ সেখানকার বাসিন্দাদের। অনেকে ‘টক টু মেয়র’-এ ফোন করে খাটাল নিয়ে অভিযোগ জানান। অভিযোগ, নর্দমায় খাটালের বর্জ্য জমে থাকার ফলে জল বার হচ্ছে না। সেই জল জমে খাটালের বর্জ্য ভেসে বেড়াচ্ছে। দুর্গন্ধে ভরে যাচ্ছে গোটা এলাকা। বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, গরু-মহিষের বর্জ্য পদার্থের দুর্গন্ধে কার্যত সেখানে থাকা তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠছে। বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও কাজ হচ্ছে না। এই অবস্থায় গত কয়েক বছরে শহরের বুকে কী ভাবে বেআইনি খাটাল তৈরি হচ্ছে, তা-ই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুরসভার নজরদারির অভাবের অভিযোগ উঠেছে। তবে এই সমস্ত সমস্যা এবং অভিযোগ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘‘ক্যাটল ডিভিশনকে চিঠি দিতে হবে খাটাল আছে বলে। কলকাতা পুরসভার কোনও ক্ষমতা নেই এতে।’’