• মাটির বাড়িতে বসবাস, বহু মানুষের নাম নেই আবাসে
    বর্তমান | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কান্দি: পরিবারের অবস্থা দিন আনি দিন খাই। বসবাস করেন মাটির বাড়ি অথরা চালাঘরে। কিন্তু প্রশাসনিক সার্ভের পরেও আবাস তালিকায় নাম নেই তাঁদের। শুক্রবার ভরতপুর ১ ব্লকের দু’টি গ্রামের ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের একাংশ সংশ্লিষ্ট বিডিওর কাছে নালিশ জানালেন। বিডিও দাওয়া শেরপা বলেন, এদিন অনেকে বাংলা আবাস যোজনায় ঘর পাননি বলে দেখা করেছিলেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।ওই ব্লকের পলিশা গ্রামের প্রৌঢ়া জেসমিনা বিবি নিজের বাড়ি নেই বলে দাবি করেছেন। তিনি ভাসুরের বাড়িতে থাকেন। নভেম্বরের শেষ দিকে তিনি কোথায় থাকেন তা জানতে সার্ভে করে গিয়েছেন প্রশাসনের লোকজন। এরপরও আবাস যোজনার তালিকায় নাম উঠেনি তাঁর। তিনি বলেন, যাঁরা সার্ভে করতে এসেছিলেন। তাঁরা মাত্র কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে ছবি তুলে চলে গিয়েছিলেন। আমার যে নিজের বাড়ি নেই, সেটা বলারও সুযোগ দেননি। গ্রামের হুশনেহার বিবি বলেন, ২০০০ সালের বন্যায় বাড়ি ভেঙে পড়ার পর আর বাড়ি করতে পারিনি। এখনও মাটির দেওয়াল দেওয়া চালাঘরে বাস করছি। ২০১৮ সালের আবাস যোজনার তালিকায় নাম থাকলেও বাংলা আবাস যোজনার তালিকায় নাম নেই। তাই এদিন বিডিও সাহেবকে নালিশ করতে এসেছিলাম।


    এই গ্রামের সীমা খান বলেন, গ্রামের পাঁচটি পরিবার মাটির বাড়িতে বাস করেন অথবা অন্যের বাড়িতে থাকেন। যাঁরা সার্ভে করতে এসেছিলেন তাঁরা এঁদের অন্যের একটি পাকা বাড়ির সামনে নিয়ে গিয়ে ছবি তুলেন। এই অন্যায় সহ্য করা যায় না। এই ঘটনার কথা লিখিতভাবে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে এঁদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হব। এদিকে এদিন ওই ব্লকের কাশিপুর গ্রামেরও ছ’জন মহিলা বিডিওর কাছেও আবাস যোজনা থেকে বঞ্চিত হওয়ার কথা জানাতে আসেন। বিডিওর কাছে প্রত্যেকে আবাস প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হওয়ার কথা জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। গ্রামের রিপন শেখ বলেন, এদিন যাঁরা বিডিওর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তাঁদের প্রতিটি পরিবার দুঃস্থ। প্রত্যেকের ভাঙা মাটির ঘর। অথচ এঁরাই বঞ্চিত। গ্রামের রওশানাজ বেগম বলেন, জমি থাকলেও নিজের বাড়ি নেই। বাধ্য হয়ে ভাইয়ের বাড়িতে থাকতে হয়। বিডিও অফিসের লোকজন সার্ভেতে সব দেখে গিয়েছেন। এর পরেও তালিকায় নাম ওঠেনি। বিডিও সাহেবকে সেটাই জানালাম। 
  • Link to this news (বর্তমান)