নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: বিপুল পরিমাণ গাঁজা বাজেয়াপ্ত করল চাপড়া থানার পুলিস। শুক্রবার চাপড়া থানার সোনপুকুর এলাকা থেকে একটি ছ’চাকার লরি আটক করা হয়। সেই লরি থেকে এক কুইন্টাল গাঁজা বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। লরিচালক শহিদুল শেখকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। তার বাড়ি কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার ভালুকা এলাকায়। চাপড়া থানার পুলিস ও এসওজি যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই গাঁজা আটক করেছে। আর শনিবার ধৃতকে কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হবে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, চাপড়া এলাকাতেই সেই বিপুল পরিমাণ গাঁজা সরবরাহ করতে আসছিল। কিন্তু তার আগেই পুলিসের হাতে এই বিপুল পরিমাণ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত হয়। কোচবিহার থেকে ওই গাঁজা নিয়ে আসা হচ্ছিল বলে পুলিস জানতে পেরেছে। সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারি বন্ধ করতে এটা বড়সড় সাফল্য বলে মনে করছে পুলিস মহল।
জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এসওজি ও পুলিস চাপড়া থানার শোনপুকুর এলাকায় ঘাঁটি গাড়ে। সেই সময় একটি লরি আসছিল। সন্দেহজনক সেই লরিটি আটক করে তল্লাশি চালানো হয়। জানা যায় লরিটি অসম থেকে রবার নিয়ে আসছিল। লরি বোঝাই সেই রবারের মধ্যেই লুকানো ছিল ওই বিপুল পরিমাণ গাঁজা। যদিও লরিচালক ছাড়া আর কাউকে পায়নি পুলিস। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত জানায়, কোচবিহার থেকে লরিতে ওই গাঁজা তুলে দেওয়া হয়েছিল।
জাতীয় সড়ক ধরে ওই গাঁজা নদীয়া জেলায় ঢোকার কথা ছিল। মুর্শিদাবাদের উমুরপুরে এই গাঁজার মালিকের সঙ্গে কথা হয় লরিচালকের। তারপর সেই মালিক চারচাকা গাড়ি করে সামনে আসতে থাকে। পিছনে ছিল লরিটি। জাতীয় সড়ক না ধরে তারা পলাশীপাড়া হয়ে চাপড়ায় ঢোকে। চাপড়া পেট্রলপাম্পের কাছে সেই সামগ্রী হস্তান্তরের কথা ছিল। সীমান্ত টপকে বাংলাদেশে পাচার করে দেওয়া হতো। কিন্তু পুলিসের সক্রিয়তায় তা ভেস্তে যায়।
কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার এক আধিকারিক বলেন, ওই বিপুল পরিমাণ গাঁজা কোচবিহার থেকে চাপড়ায় নিয়ে আসা হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। একটি লরিতে তল্লাশি চালিয়ে গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গাড়ির চালককে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ এই প্রথম নয়। সম্প্রতি কোচবিহারের গাঁজার চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়েছে নদীয়া জেলায়। সপ্তাহ খানেক আগে কালীগঞ্জ থানার পলাশী এলাকা থেকে ৫২ কেজি কোচবিহারের গাঁজা বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। লাগাতার এই গাঁজা পাচারের ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে পুলিস মহলেও।