সংবাদদাতা, কালিয়াগঞ্জ: ফোনে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর হুমকি পেয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের। এই অভিযোগে শোরগোল হেমতাবাদ ব্লকজুড়ে। মৃত শিক্ষকের নাম দীনেশচন্দ্র বর্মন (৫০)। তিনি হেমতাবাদের বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তুরিবন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
মৃতের পরিবার আতঙ্কে কিছু না বললেও স্কুলের শিক্ষকরা হেমতাবাদের বিডিওকে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন। বিডিও সুদীপ পাল বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ পত্রে রয়েছে, বুধবার দুপুর তিনটা নাগাদ বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী আব্দুল বারেক চৌধুরী ফোন করে শিক্ষক দীনেশচন্দ্রকে ফোনে হুমকি দেন। সময়ের আগে স্কুল কেন বন্ধ করা হয়েছিল, তা নিয়ে ফোনে বাকবিতণ্ডা বাধে দুজনের মধ্যে। প্রধানের স্বামীর হুমকিতে দীনেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে দাবি ওই শিক্ষকদের। বুধবার রাতেই দীনেশকে রায়গঞ্জ মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ওই শিক্ষকের। শুক্রবার দুপুরে রায়গঞ্জ মেডিক্যালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়।
যদিও ওই শিক্ষককে হুমকি দেওয়া হয়নি বলে দাবি অভিযুক্ত আব্দুল বারেক চৌধুরীর। তিনি বলেন, সময়ের আগে স্কুল বন্ধের কারণ জানতে চেয়ে ফোন করেছিলাম। কোনও হুমকি দিইনি। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। ফোন না তোলায় এবিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান লাভলি পারভিনের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মেসেজেরও উত্তর দেননি। দীনেশের মৃত্যুর পর আতঙ্কিত হেমতাবাদের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। হেমতাবাদের জয় রামবাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জগদীশ দাস বলেন, থ্রেট কালচারের শিকার হয়ে মৃত্যু হয়েছে দীনেশের। প্রধানের স্বামীর ফোন পাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন দীনেশ। তারপরই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আমরা বিডিও’র দ্বারস্থ হয়েছি।