• বেআইনিভাবে শিশু দত্তক রুখতে কড়া পদক্ষেপ উত্তর দিনাজপুরে
    বর্তমান | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বেআইনিভাবে শিশু দত্তক রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে জেলা সমাজকল্যাণ দপ্তর ও শিশু সুরক্ষা ইউনিট। দপ্তরের স্পষ্ট বার্তা, জেলার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রতিমাসে এ ব্যাপারে নির্ভুল রিপোর্ট দিতে হবে স্বাস্থ্য দপ্তরকে। তবেই শিশুপাচার ও শিশুঅধিকার রক্ষা সম্ভব। শুক্রবার জেলা ও ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা সহ ৩৬ টি নার্সিংহোমে প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কর্মশালা হয় জেলাশাসক দপ্তরে।  সেখানেই আইনি পদ্ধতি মেনে শিশু দত্তক ও বেআইনি পথে শিশু দত্তক নেওয়ার প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়। যেখানে জেলার শিশু সুরক্ষা ইউনিটের আধিকারিক অসিত রঞ্জন দাস, ডায়রেক্টরেট অব চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড ট্রাফিকিংয়ের অবসরপ্রাপ্ত জয়েন্ট ডিরেক্টর সুপ্রিয় সরকার সহ প্রশাসন স্বাস্থ্যদপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।


    শিশু সুরক্ষা ইউনিটের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৬ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত আইন মেনে উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকে সর্বমোট ৪৮ জন শিশুকে দত্তক দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৯ জন বিদেশে রয়েছে। জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিটের আধিকারিক বলেন, শিশু দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে আইনি বেড়াজাল রাখার কারণ হচ্ছে, যাতে কোনও শিশুর সুস্থ জীবন পাওয়ার অধিকার লঙ্ঘিত না হয়। কোনওভাবে শিশু পাচার না হয়ে যায়। 


    এই বিষয়টি আমরা সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির সামনে রাখলাম। যাতে কোনও শিশু জন্মের পর অনাথ হয়ে গেলে, জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিট সহ বিভিন্ন দপ্তরকে দ্রুত জানায়। তবে সেই শিশুর দেখভাল ও আইনি মাধ্যমে দত্তক প্রক্রিয়ায় তাকে আনা যায়। এতে শিশুটির ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হবে। সুপ্রিয় সরকার বলেন, বেআইনিভাবে শিশু দত্তক নেওয়ার পন্থা রুখে দিতে চাইছি। যাতে তাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হয়। 


    শিশু সুরক্ষা আইন অনুযায়ী সারাদেশে আইনত শিশু দত্তকের প্রক্রিয়া চালু আছে।  প্রচুর অভিভাবক অনলাইনে দত্তক নেওয়ার আবেদন জানিয়ে রাখেন। তারপরও বেআইনিভাবে শিশু দত্তক নেওয়ার অবাঞ্চিত কিছু ঘটনা শোনা গিয়েছে অতীতে। তাই সেই অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সকলকে আইনি পথে শিশু দত্তক নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করার জন্য এই উদ্যোগ।
  • Link to this news (বর্তমান)