আয়কর কর্তা সেজে কলকাতার সিপির অফিসে ফোন, দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার ১
বর্তমান | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আয়কর দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্তা পরিচয় দিয়ে কলকাতা পুলিসের সিপি মনোজ ভার্মার অফিসে ফোন করে প্রভাব খাটানোর অভিযোগে দিল্লি থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল লালবাজার। ধৃতের নাম জাভেদ ফরিদি (৫৮)। বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা পুলিসের প্রতারণা দমন শাখার গোয়েন্দারা দিল্লির দরিয়াগঞ্জ থেকে এই মাঝবয়সি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছেন বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিসের ভারপ্রাপ্ত গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার। ঘটনার সূত্রপাত গত নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে। আদালতের নির্দেশে জামিন অযোগ্য একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিস। অভিযোগ, সেই সময় জাভেদ ফরিদি নিজেকে আয়কর দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্তা পরিচয় দিয়ে লালবাজারে পুলিস কমিশনারের অফিসে ফোন করেন। তিনি কথা বলেন কমিশনারের পিএ ইনসপেক্টর অভিতাভ চক্রবর্তীর সঙ্গে। পাশাপাশি তিনি ফোন করেছিলেন শেক্সপিয়র সরণি থানার ওসিকেও। লালবাজারের দাবি, দু’টি ফোনেই দিল্লির বাসিন্দা ওই ব্যক্তি জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন। এমন অস্বাভাবিক ফোন পাওয়ায় সন্দেহ হয় লালবাজারের কর্তাদের। প্রাথমিকভাবে সিপি’র নির্দেশে ‘এনকোয়ারি’ শুরু করেন প্রতারণা দমন শাখার গোয়েন্দারা। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সারবত্তা প্রমাণিত হওয়ায় ২৯ নভেম্বর শেক্সপিয়র সরণি থানার এসআই বিশ্বজিৎ বিশ্বাস স্বতঃপ্রণোদিতভাবে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, সরকারি আধিকারিক হিসেবে ভুয়ো পরিচয় দেওয়া, পুলিসের কাজে বাধা, জাল নথি পেশ করার মতো একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তভার যায় লালবাজারের হাতে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ দিল্লি পুলিসের সাহায্য নিয়ে দরিয়াগঞ্জ থানা এলাকা থেকে ভুয়ো আয়কর কর্তা জাভেদ ফরিদিকে গ্রেপ্তার করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। ধৃতকে শুক্রবার দিল্লির আদালতে তোলা হলে বিচারক ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করেন।