জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেষ্টপুরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃতদেহকে ঘিরে চাঞ্চল, তদন্তে পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে কেষ্টপুর রবীন্দ্রপল্লী ২৪৭ নম্বর এলাকায়। পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার একটি বাড়ির তিন তলা থেকে এক গৃহবধূ মৃতদের মধ্যে উদ্ধার করে বাগুইআটি থাানার পুলিস। গৃহবধূর নাম অভিষিক্তা দে সাহা। বয়স ২৫। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে যখন ওই গৃহবধূর ফোনে তার স্বামী পাচ্ছিলেন না। এরপর তার স্বামী বুদ্ধদেব সাহা বাড়িতে এসে তালা খুলে দেখে গৃহবধূ গলায় ওড়না ফাঁস লাগানো অবস্থায় খাটের উপুড় হয়ে পড়ে আছে।
তারপর পুলিসকে খবর দিলে বাগুইআটি থানার পুলিস ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিয়ে যায়। আরও জানা যায়, সাত বছর আগে ওই এলাকার বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করা বুদ্ধদেব সাহার সঙ্গে বিয়ে হয় অভিষিক্তার। তাদের দু-বছরের একটি সন্তানও আছে। গৃহবধূ উড়িষ্যায় এক বিউটি পার্লারে তিনি কাজ করতেন। ১৫ দিন সেখানে থাকত আর বাকি ১৫ দিন রবীন্দ্রপল্লির বাড়িতে থাকতেন। ঘটনার দু'দিন আগে উড়িষ্যা থেকে তিনি বাড়িতে আসেন। এই ঘটনায় রাতে ঘটনা স্থলে আসেন ডিসি। তবে কি কারণে মৃত্যু পুরো বিষয়টি তদন্তে পুলিস।
ঘটনার তদন্তে নেমে তাঁর ফেসবুক-সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি খতিয়ে দেখে পুলিস। ফেসবুক থেকে ক্লু পেয়েই কৌশিক সাহা নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে বাগুইআটি থানার পুলিস। যেই আবাসনে অভিষিক্তা থাকতেন সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। সেখানকার আবাসিকদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিস। অবশেষে মৃতার ফোনের সূত্র ধরে খোঁজ মেলে কৌশিকের।
কয়েক মাস আগেই তাঁর ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল কৌশিকের সঙ্গে। প্রথমে বন্ধুত্ব, পরে প্রেম হয় তাঁদের। কিন্তু পরে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন অভিষিক্তা। মহিলা জানিয়ে দেন, তাঁর স্বামী এবং সন্তান আছে তাই আর সম্পর্ক রাখতে পারবেন না। এর পরেই রাগের বশে শুক্রবার রাতে খুন করেন কৌশিক। এদিকে পুলিস সূত্রের খবর, বেলার দিকে তাঁর স্বামী একাধিক বার স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু অভিষিক্তা ফোন না ধরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন বুদ্ধদেব। ফিরে দেখেন ফ্ল্যাট তালা বন্ধ।