শুক্রবার রাতেই মৃতার নাম, পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাসিন্দা। তদন্তের স্বার্থে রাতেই বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গড়া হয়েছে। খতিয়ে দেখা হয়েছে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। এর পরেই সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত মহিলার বাকি দেহাংশের খোঁজ মেলেনি। দেহ কত টুকরো করা হয়েছে, কোন অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, সব কিছু নিয়েই এখনও ধোঁয়াশায় রয়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি মৃতার আত্মীয়। ওই ব্যক্তি খুনের ঘটনায় সরাসরি জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরেই মহিলাকে খুন হতে হল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তা-ও।
শুক্রবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার গল্ফগ্রিন এলাকায় একটি বহুতল আবাসনের পিছনে ময়লার স্তূপ থেকে ওই মহিলার কাটা মুন্ডু উদ্ধার হয়। প্লাস্টিকে মুড়ে রাখা ছিল মুন্ডুটি। খবর প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মুন্ডুটি কার, কী ভাবে সেখানে এল— তা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকেরা। নিয়ে আসা হয় পুলিশের ডগ স্কোয়াডের কুকুর। এর পর বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ‘স্নিফার ডগ’ নিয়ে আজাদগড়ের একটি আবাসনে যায় পুলিশ। আবাসনের বাসিন্দাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।