পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩০ নভেম্বর রাতে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার ঢেঙাশোল জঙ্গলের রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে বরযাত্রী বোঝাই একটি বাস এবং একটি লরি আটকায় জনা কয়েক দুষ্কৃতী। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে দুটি গাড়িতেই লুটপাট হয়। বরযাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা ছাড়াও বেশ কিছু অলঙ্কার নিয়ে চম্পট দেয় তারা। খবর পেয়ে কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল বিষ্ণুপুর এবং তালড্যাংরা থানার পুলিশ। কিন্তু দুষ্কৃতীদের তখন নাগাল পাওয়া যায়নি। ওই ঘটনায় উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে একটি তদন্তকারী দল গঠন করে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। এর পর নির্দিষ্ট সূত্র কাজে লাগিয়ে এবং প্রযুক্তির সহায়তায় গত ১ ডিসেম্বর সাবেক আলি মোল্লা নামে এক অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে তদন্তকারী দল। তাঁকে গ্রেফতার করার পর আরও বেশ কিছু তথ্য হাতে আসে পুলিশের। ওই সব তথ্যের উপর ভিত্তি করে শুক্রবার রাতে জয়পুর থানার আধকাটা জঙ্গল থেকে মূল চক্রী মজিবুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, গভীর রাতে বাইক নিয়ে ওই জঙ্গলপথ ধরে যাওয়ার সময় অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মজিবুরের বাড়ি গড়বেতা থানার ছোট আঙারিয়া গ্রামে। তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়েছে। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) মাকসুদ হাসান বলেন, ‘‘অপরাধী চক্রের মূল পাণ্ডা মজিবুর ঘটনার দিন তার চার সহযোগীকে নিয়ে লুটপাট চালিয়েছিল বরযাত্রী থাকা বাস এবং একটি লরিতে। ঘটনার দিনই আমরা গোটা জঙ্গল তন্নতন্ন করে খুঁজেছিলাম। কিন্তু কোথাও তাদের হদিস পাইনি। এর পর বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে এখনও পর্যন্ত চক্রের মূল চক্রী-সহ দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধের কথা স্বীকার করেছে ধৃত। খুব শীঘ্রই আমরা ওই দলের অন্যদেরও গ্রেফতার করতে পারব। ধৃতদের কাছ থেকে লুট হওয়া সামগ্রীর কিছু অংশ উদ্ধারও করা সম্ভব হয়েছে।’’