পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে রবীন্দ্রপল্লির ওই আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে থাকতে এসেছিলেন অভিষিক্তা ও বুদ্ধদেব। তাঁদের একটি সন্তানও রয়েছে। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই চাকরি করেন। যে কারণে তাঁদের সন্তান ওই যুবকের মা-বাবার কাছে, অন্যত্র থাকে। এ দিন স্ত্রীকে একাধিক বার ফোন করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে বুদ্ধদেব ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন। তার পরেই তিনি স্ত্রীর দেহ দেখতে পান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এ দিন রাতের দিকে পাড়ায় কয়েক গাড়ি পুলিশ দেখে লোকজনের ভিড় জমে যায়। রাত সাড়ে দশটার পরে তরুণীর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। তার আগে ওই আবাসনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। সেখানকার অন্য আবাসিকদের প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ। তরুণীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। তাঁর দেহটি গলায় ওড়নার ফাঁস জড়ানো অবস্থায় খাটের উপরে উপুড় হয়ে পড়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণী বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। বুদ্ধদেব একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। রোজকার মতো তাঁরা দু’জনেই এ দিন সকালে একসঙ্গে কাজে বেরিয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রের খবর, বেলার দিকে তরুণীর স্বামী একাধিক বার স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু অভিষিক্তা ফোন ধরেননি। তা থেকে প্রথমে বুদ্ধদেবের ধারণা হয়েছিল, অভিষিক্তা হয়তো সন্তানকে দেখতে তাঁর মা-বাবার কাছে গিয়েছেন। কিন্তু সেখানেও অভিষিক্তা যাননি জানতে পেরে চিন্তিত বুদ্ধদেব ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, ফ্ল্যাটে ফিরে তিনি দেখেন, দরজা এবং তার বাইরে লোহার গ্রিল বাইরে থেকে বন্ধ রয়েছে। তাঁর কাছে থাকা চাবি দিয়ে গ্রিলের তালা এবং ফ্ল্যাটের দরজা খুলে ঢুকে স্ত্রীর দেহ দেখতে পান বুদ্ধদেব।