লস্করপুরে বাবার বাড়িতেই স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে থাকতেন জলি। তাঁর বাবা মারা গিয়েছেন। বাড়ির অন্য অংশে থাকতেন জলির মা মলিনা। স্থানীয় সূত্রের খবর,আর্থিক অনটনে ছিল পরিবারটি। বাড়িতে একটি দোকান করেছিলেন দীপক। কিন্তু পরে সেই দোকান বন্ধ করে দেন। জলি এবং দীপক অসুস্থও ছিলেন। দিশানী কখনও শপিং মলে, কখনও ব্যাঙ্কে কাজ করে সংসার চালাতেন।
বৃহস্পতিবার সকালে তিন জনেই ঘুমের ওষুধ খান। ওই দিন বাড়িতে আসার কথা ছিল জলির বোন ডলির। তিনি এলে দিশানী দরজা খোলেন। তাঁকে দেখে অসুস্থ বলে মনে হয় ডলির। জিজ্ঞাসা করায় দিশানী জানান, তাঁরা তিন জন ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন। ডলিই পাড়ার যুবকদের ডেকে তিন জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। সেখানে জলিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে পুলিশ। তাতে আর্থিক প্রতারণার জেরে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে লেখা ছিল। জলি ও দীপক এ-ও লিখেছিলেন, এক যুবক তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন।
ওই যুবক এলাকারই বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তাঁর জমি-বাড়ি দালালির ব্যবসা ছিল। তবে, বর্তমানে তিনি দুর্ঘটনায় জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। কী ভাবে তিনি ওই পরিবারটির সঙ্গে প্রতারণা করেন, কত টাকার প্রতারণা হয়েছিল— সে সব খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি, এই ঘটনার পিছনে আর কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা-ও দেখা হচ্ছে।