মৃতের পরিবারের সদস্যেরা জানান, বৃহস্পতিবার সঞ্জয়ের ছুটি ছিল। রাতের দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। রাত ১২টা নাগাদও বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ফোনে তাঁর কথা হয়। তার পর থেকেই ফোন বন্ধ ছিল। ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে, সেই গলির এক দিক নর্দমার কারণে খুবই সঙ্কীর্ণ। পরিবারের লোকজন মনে করছেন, নর্দমাটি ঢাকা থাকলে হয়তো সঞ্জয় বেঁচে যেতেন।
ওই জায়গাটি বিধাননগর পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভিতরে। এই ঘটনার পরে পুরসভার রাস্তা সারাইয়ের কাজের ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ওই জায়গায় রাস্তার অবস্থা ঠিক নেই। তার উপরে যে জায়গায় কাজ হচ্ছে, সেই অংশটি আটকানো ছিল না। এমনকি, রাস্তায় পর্যাপ্ত আলো নেই বলেও এ দিন অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা। তাঁদের ধারণা, খারাপ রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই ব্যক্তি বাইক নিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন। তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি ঝুঙ্কু মণ্ডলের দাবি, সারাইয়ের কাজের জন্য রাস্তা বন্ধ রাখা হলেও লোকজন সেখান দিয়েই যাতায়াত করেন। তবে, খোলা নালাটি ঢেকে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। পুরপ্রতিনিধি বলেন, ‘‘এমন যে ঘটতে পারে, কেউ আন্দাজও করেননি। দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। নালাটি ঢেকে দেওয়া হবে। ওই রাস্তা কাজের জন্য বন্ধ করা হলেও স্থানীয় লোকজন সেখান দিয়েই যাতায়াত করেন।’’