হলদিয়া বন্দর পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের সচিব টি কে রামচন্দ্রন
বর্তমান | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, হলদিয়া: আজ, শনিবার হলদিয়া বন্দর পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের সচিব টি কে রামচন্দ্রন। বন্দর পরিদর্শনে এসে তিনি একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। রানিচকে বন্দরের রেলওয়ে সাইডিং(কাস-টু), নবরূপে সেকেন্ড অয়েল জেটি এবং বন্দর গেস্ট হাউস, ১৫০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সোলার প্ল্যান্টের সূচনা করেন তিনি। এদিন বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ হলদিয়া পৌঁছন কেন্দ্রীয় সচিব। এরপর তিনি ঘুরে দেখেন টাউনশিপে নদীর মোহনায় হলদিয়া ফ্লোটিং টার্মিনাল জেটি, বন্দরের ইন্টারন্যাশনাল কন্টেনার টার্মিনাল। কয়লা আমদানি-রপ্তানির বাড়তি সুবিধার জন্য রানিচকে রেলওয়ে সাইডিংয়ের সূচনা করেন তিনি। বন্দরের নির্মীয়মান ২ ও ৫ নম্বর জেটি সচিবকে ঘুরিয়ে দেখান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান রথেন্দ্র রমন ও বন্দরের আধিকারিকরা। ওই দু'টি জেটি তৈরি করছে আদানি ও রিপ্লে। এদিন সচিব বন্দরের লকগেট এবং ইনল্যান্ড ওয়াটার ওয়েজের জেটিও ঘুরে দেখেন। ইনল্যান্ড ওয়াটাড ওয়েজ প্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি টাকা খরচ করে নদী পথে পণ্য পরিবহণের জন্য জেটি তৈরি করলেও দু'বছর পরও তা চালু হয়নি। বন্দরের শ্রমিক সংগঠনগুলির বক্তব্য, বন্দর কর্তৃপক্ষ সাড়ে ৬ কোটি টাকা খরচ করে গেস্ট হাউস নতুন করে ঝাঁ চকচকে তৈরি করেছ, কিন্তু আবাসন এলাকাগুলি অন্ধকারে। মাখনবাবুর বাজার এলাকায় বন্দরের সেন্টিনারি পার্কে আলো নেই, সমাজবিরোধীদের আখড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই এলাকায় রাস্তা অন্ধকারে ডুবে থাকে। বাসিন্দাদের হাইমাস্ট আলো জ্বালানোর দাবি দীর্ঘদিনের। শ্রমিক কর্মচারীদের অভিযোগ, বন্দর প্রশাসনের মধ্যে আধিকারিকদের দুই গোষ্ঠী টানাপোড়েনের ফলে বন্দরের উন্নয়ন এবং বাণিজ্য ভীষণভাবে ধাক্কা খাচ্ছে। শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ, গত কয়েকমাসে বন্দরের পণ্য পরিবহণ ক্রমশ নিম্নমুখী। বন্দরের পদস্থ কর্মকর্তাদের একাংশের অবহেলাকে দায়ী করছেন তাঁরা। কলকাতা থেকে বন্দর পরিচালনা করতে গিয়ে হলদিয়ার জেনারেল ম্যানেজারদের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার(প্রশাসন) প্রবীনকুমার দাস বলেন, “এদিন কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের সচিবের সঙ্গে বন্দরের উন্নয়ন, সমস্যা ও আগামী পরিকল্পনা নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত একাধিক পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছে।”