আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, লালগোলা থানার বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দামোদরপুর গ্রামের বাসিন্দা আইনজীবী নুর মহম্মদ সেলিম গত ২৯ নভেম্বর আদালতের কাজ শেষ করে বাড়ির কাছে কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতালের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলেন। ওই সময় ফারুক তাঁর দলবল নিয়ে ওই আইনজীবীর উপর চড়াও হন। আইনজীবীকে মারধর করা হয়। অভিযোগ, শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়। যদিও কী কারণে ওই হামলা, তা স্পষ্ট জানা যায়নি।
আক্রান্ত আইনজীবী যুব তৃণমূলের নেতা ফারুক এবং তাঁর দুই সঙ্গী জহিরুল ইসলাম এবং তাজিরুলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রথমে তাজিরুলকে গ্রেফতার করেছিল। বাকি দুই অভিযুক্ত অধরা ছিলেন। তবে শুক্রবার ফারুক লালবাগ মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক অভিযুক্তের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে পুলিশকে এ নিয়ে দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন।
ওই প্রসঙ্গে ‘আক্রান্ত’ আইনজীবী বলেন, ‘‘আমি ওঁর উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছি।’’ ওই গন্ডগোল নিয়ে তৃণমূলের লালগোলা ব্লক সভাপতি মোতাহার হোসেন রিপন বলেন, ‘‘যুব সভাপতির জেল হেফাজতের কথা শুনেছি। তবে বিস্তারিত জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ অন্য দিকে, মামলা তুলে নিতে বলে ওই আইনজীবীকে হুমকি দেওয়ার জন্য জেল হেফাজত হয়েছে ফারুকের ঘনিষ্ঠ হিলাবে পরিচিত অসিফ খানের।