দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে কংক্রিট ও পিচের রাস্তার কাজ শুরু করল পুরসভা
বর্তমান | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা আরামবাগ: এলাকাবাসীর দাবি মেনে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে শুক্রবার আরামবাগ শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আচার্য পাড়া এলাকায় আন্ডারগ্রাউন্ড হাইড্রেনের উপর কিছুটা কংক্রিট ও কিছুটা পিচের রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ওই কাজের কিছুটা বাদে শনিবার পুরো রাস্তাটির কাজ শেষ হওয়ায় খুশি এলাকার মানুষজন। তাঁরা বলেন, আন্ডারগ্রাউন্ড হাইড্রেন তৈরি করার জন্য রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়েছিল। অনেকদিন হল হাইড্রেন তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও রাস্তা ঢালাই করা হচ্ছিল না। যার ফলে আমাদের সাইকেল, মোটর সাইকেল নিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভীষণ অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছিল। মাটির রাস্তার উপর জল পড়লে তা কাদায় পরিণত হয়ে যাচ্ছিল। তার উপর দিয়ে সাইকেল, মোটর সাইকেল চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল। আমরা আমাদের সমস্যার কথা পুরসভাকে বহুবার জানিয়েছিলাম। এতদিনে রাস্তা তৈরি হওয়ায় আমরা খুবই খুশি।
এই প্রসঙ্গে আরামবাগ পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, যে কারণের জন্য আন্ডারগ্রাউন্ড হাইড্রেন তৈরি করা হয়েছে, তা সফল। জল খুব সুন্দরভাবে নিকাশি হচ্ছে। রাস্তা তৈরির কাজটি বাকি ছিল। এখন তা করে দেওয়া হয়েছে। এতে স্থানীয় মানুষজন খুবই উপকৃত হবেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় জল নিকাশি ব্যবস্থা উন্নত মানের করার জন্য আরামবাগ শহরে লিঙ্ক রোডের পাশ থেকে পাঁড়ের ঘাট মহাশ্মশানের পাশ পর্যন্ত রাস্তায় আন্ডারগ্রাউন্ড হাইড্রেন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পুরসভার পক্ষ থেকে। যেহেতু আন্ডারগ্রাউন্ড হাইড্রেন তৈরি করা হবে, তাই আরামবাগ লিঙ্ক রোডের পাশ থেকে রাস্তা খুঁড়ে তা থেকে মাটি তুলে আন্ডারগ্রাউন্ড হাইড্রেনের পাইপ বসানোর কাজ শুরু করা হয়। ২ বছর ধরে চলতে থাকা কাজটি গত এক বছর আগে শেষ হয়ে গিয়েছিল। হাইড্রেনটি তৈরি করার জন্য কংক্রিটের রাস্তাগুলি ভেঙে তার নীচে গর্ত করে পাইপ ফেলা হয়েছিল। পরে সেই পাইপগুলোর ওপর মাটি ফেলে বোজানো হয়েছিল। যার ফলে কংক্রিটের রাস্তাটি পরিণত হয়েছিল মাটির রাস্তায়। ওই রাস্তাটির চারিপাশে বহু মানুষ বসবাস করেন। ফলে ওই রাস্তাটির গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। ওই রাস্তা দিয়েই স্কুলের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাতায়াত করে। ওই মাটির রাস্তায় জল পড়লে তা কাদায় পরিণত হওয়ার ফলে ওই রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে যেতে গিয়ে পিছল খেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা পড়ে যাচ্ছিলেন। রাস্তার মধ্যে ম্যানহোলের ঢাকনাগুলি উঁচু হয়ে থাকায় এবং রাস্তাটি উঁচুনিচু এবং গর্তে ভর্তি থাকায় এই রাস্তায় সাইকেল, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাও ঘটছিল। এখন পুরো রাস্তাটির কিছুটা বাকি রেখে বাকি রাস্তাটির কিছুটা পিচ ও কিছুটা কংক্রিটের তৈরি করে দেওয়ায় সব সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশিস রায় বলেন, আমরা বহুদিন ধরে রাস্তার সমস্যায় ভুগছিলাম। আমাদের রাস্তাটি এখন ঢালাই করে দেওয়া হয়েছে। আমরা এতে খুবই উপকৃত হলাম।