নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় মগ্ন না হয়ে, তাঁকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে হবে। ২০২০ সালের পর আমি ফেসবুক, ইনস্ট্রাগ্রামে কোন পোস্ট করিনি। শিক্ষণীয় কিছু থাকলে তাতে শুধু নজর রাখতাম। হোয়াটসঅ্যাপকেও সেই ভাবেই ব্যবহার করেছি’। ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল সার্ভিসে এবার দেশের সেরা হয়েছেন আসানসোলের সিঞ্চন স্নিগ্ধ আধিকারী। শনিবার বর্তমানকে একান্ত সাক্ষাৎকারে একথা বলেন সিঞ্চন। তিনি নিতান্ত মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। বাবা রুগ্ন মাইন বোর্ড অব হেলথের কর্মী। মা গৃহবধূ। অষ্টম শ্রেণি থেকে বিভিন্ন স্কলারশিপের মাধ্যমে পড়াশোনা করে সংখ্যাতত্ত্ব বিষয়কে তালুবন্দি করেছেন তিনি। কীভাবে তা সম্ভব করলেন? তিনি বলেন, যে কোনও বড় প্রতিযোগিতায় পরীক্ষার প্রস্তুতি পড়াশোনা করার সময় থেকেই নিতে হবে। পাঠ্যবস্তু থেকেই ৯০ শতাংশ প্রশ্ন আসে। তাই প্রথম থেকেই পাঠ্যপুস্তক খুঁটিয়ে পড়তে হয়। যেটা আমি করেছিলাম। বাকি দশ শতাংশ পরীক্ষার তিনমাস আগে থেকে নিবিড় অনুশীলন করলেই হয়ে যায়। বর্তমান পড়ুয়া জীবনে বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার। সেখানেও সুপরামর্শ দিয়েছেন আসানসোলকে গর্বিত করা সিঞ্চন। তিনি বলেন, এখনকার যুগে সোশ্যাল মিডিয়াকে সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা অসম্ভব। কিন্তু তাও পরিকল্পনা করে ব্যবহার করতে হবে, যাতে সেখান থেকে শিক্ষণীয় অংশটুকুই আমরা নিতে পারি।
শনিবার বর্তমান পত্রিকাতেই একমাত্র এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। তারপর থেকেই প্রতিবেশী, পরিজন, স্কুলের সহপাঠী থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েই চলেছেন সিঞ্চন। সিঞ্চনের বাবা প্রদীপ অধিকারী বলেন, আমি চাই পরীক্ষার মতো এবার দেশের সেবা করার ক্ষেত্রেও ছেলে সেরা হোক। অতিরিক্ত জেলাশাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বড় সাফল্য। শিল্পাঞ্চলের পড়ুয়ারা সিঞ্চনের সাফল্যে উদ্বুব্ধ হবে।