সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: আবাস যোজনায় এবার স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠল হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের শাসকদলের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি স্বপন কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে। বিডিও সহ সার্ভের দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে ঘর পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ করে শনিবার করিয়ালী এলাকায় বিক্ষোভ দেখালেন মশালদহ অঞ্চলের কংগ্রেস কর্মী ও বঞ্চিত উপভোক্তারা। অভিযোগ, স্বপন ১৫ বছর ধরে সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ মুকুন্দপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। ঝাঁ চকচকে পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও প্রভাব খাটিয়ে শ্বশুর জগদীশচন্দ্র লোহার, ভাইপো বাপন ঘোষ, জামাই বলরাম মহালদার ও বউদি নিলাম ঘোষ সহ একাধিক আত্মীয়ের নাম আবাস তালিকায় ঢুকিয়েছেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দা ও বঞ্চিত মহম্মদ আকবর আলির অভিযোগ, আমি শারীরিকভাবে অক্ষম। কাজ করতে পারি না। কাঁচা বাড়িতে থাকি। সার্ভের পর তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়েছে। অথচ দেখছি পাকাবাড়ি থাকা লোকদের নাম রয়েছে।
যদিও স্বপনের সাফাই, ২০১৮ ও ২০২২ এর তালিকায় ছিল তাঁদের নাম। সেই সময় কাঁচা বাড়ি ছিল। গত তিন মাস হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। এলাকায় না থাকার কারণে আমার অগোচরেই আত্মীয়দের নাম তালিকায় এসেছে। নাম বাদ দেওয়ার জন্য বিডিওকে জানিয়েছি।
অভিযোগকারী মশালদহ অঞ্চলের কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা বলেন, যাদের কাঁচা বাড়ি রয়েছে, তাঁরাই ঘর পাওয়ার যোগ্য। কাটমানি দিতে পারেননি বলে তাঁদের নাম বাদ দিয়েছে। পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আত্মীয়দের নাম ঢুকিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি। এখানে পুরোপুরি স্বজনপোষণ হয়েছে। প্রশাসনের লোকেরাও এরসঙ্গে জড়িয়ে আছে। বিডিও, এসডিও ও জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ এর বিডিও তাপস কুমার পাল বলেন, মেল মারফত অভিযোগ পেয়েছি। পাকা বাড়ি থাকা উপভোক্তাদের নাম হোল্ড করা হয়েছে। আপাতত তারা কোনও টাকা পাবে না। এ বিষয়ে জেলাতেও জানানো হয়েছে। (কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভ। - নিজস্ব চিত্র)