সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: তিন বছর আগে ছ’বছরের পুত্র সহ স্ত্রীকে বিতারিত করেছেন স্বামী। স্ত্রীর অবর্তমানের সুযোগ নিয়ে শুক্রবার দ্বিতীয়বার মালা বদল করে ফেলেছেন সেই যুবক। এমন খবর পেয়ে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার অবস্থা প্রথম স্ত্রীর। দিশেহারা হয়ে তিনি শনিবার স্বামী সহ সতীনের বিরুদ্ধে ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিস। দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন বলে স্বীকারও করেছেন অভিযুক্ত কমল রায়। ঘটনা নিয়ে ময়নাগুড়ি ব্লকের আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সিঙ্গিমারিতে প্রথম পক্ষের স্ত্রীর বাড়ি। ২০১২ সালে আমগুড়ির কমল রায়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর দেনাপাওনা নিয়ে ওই গৃহবধূকে চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সব মেনে সংসার করছিলেন সেই বধূ। ছ›বছর আগে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। কয়েকবছর আগে হঠাৎ করে বধূ জানতে পারেন, তাঁর স্বামী পরকীয়ায় লিপ্ত। এর প্রতিবাদ করার কারণে তাঁকে অত্যাচার করা হত। এমনকি তিন বছর আগে মারধর করে সন্তান সহ বাড়ি থেকে বেরও করে দেওয়া হয়। কিন্তু মাথায় হাত পড়ে শুক্রবারের ঘটনা শুনে। তিনি জানতে পারেন, ধুমধাম করে স্বামী ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। তিনি যখন খবর পেয়েছেন, ততক্ষণে বিয়ে হয়ে গিয়েছে। কি করবেন এটাই ভেবে অবশেষে প্রশাসনের দ্বারস্ত হয়েছেন। বধূ জানান, আমার ভবিষ্যৎ, আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ কি হবে? আমি অভিযুক্তদের শাস্তি চাই। এদিকে এই বিষয় নিয়ে অভিযুক্ত কমল রায়কে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমার স্ত্রী বাপের বাড়ি গিয়ে আর ফিরে আসেননি। সে আমাকে জানিয়েছে, আমার সঙ্গে সংসার করবে না। সে কারণেই নতুন বিয়ে করেছি। দেনা পাওনার জন্য কোনও চাপ দেওয়া হয়নি। সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ।