• আবাসের তালিকা থেকে নাম বাদ, শালবাড়ি ও ওকরাবাড়ি পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ
    বর্তমান | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, শীতলকুচি ও দেওয়ানহাট: বাংলা আবাস যোজনার তালিকার নাম নিয়ে বিক্ষোভের জেরে শনিবার কোচবিহার জেলার দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত শীতলকুচির ছোট শালবাড়ি ও দিনহাটা-১ ব্লকের ওকরাবাড়ি পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দিলেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। ওকরাবাড়ি পঞ্চায়েতে আবাসের তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগে গ্রাম সংসদ সভার চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করা হয়েছে। ওই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়েই। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস গিয়ে ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সমীক্ষার পর আবাসের তালিকায় নাম না থাকায় শনিবার ছোট শালবাড়ি পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ দেখান ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। দুই ঘণ্টা ধরে চলে এই বিক্ষোভ। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শীতলকুচি থানার পুলিস। পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ দীপক রায় প্রামাণিক সহ অন্যান্যরা পঞ্চায়েত অফিসে যান। সেখানে দীর্ঘ আলোচনার পর পুলিস ও প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। 


    জহরুল হক মিঁয়া, এজাজুল মিয়াঁ বলেন, সরকারি নির্দেশ না মেনে প্রশাসনিক আধিকারিকরা আবাস যোজনার সমীক্ষা করেছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের তালিকায় রাখা হয়েছে। অবিলম্বে সেই তালিকা বাতিল করে যোগ্যদের ঘর দিতে হবে। দাবি মানা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝোলানো হবে। শীতলকুচি পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ দীপক রায় প্রামাণিক বলেন, আমার কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে এই পঞ্চায়েতে ১৫৩২ জন ঘর প্রাপকের নাম রয়েছে। চূড়ান্ত তালিকা থেকে কোনও যোগ্য ব্যক্তির নাম বাদ গিয়েছে কি না সে বিষয়টি বিবেচনার জন্য বিডিওর কাছে তুলে ধরব। শীতলকুচির বিডিও সোফিয়া আব্বাস বলেন, নতুন করে তালিকা তৈরি সম্ভব নয়। স্যাংশন লিস্ট থেকে যোগ্য ব্যক্তিরাই ঘর পাবেন। 


    অন্যদিকে, শনিবার আবাসের ঘর নিয়ে দিনহাটার ওকরাবাড়ি পঞ্চায়েতে গ্রাম সভা ডাকা হয়। অভিযোগ, সমীক্ষার পর আবাসের তালিকায় নাম থাকার পরেও চূড়ান্ত তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়েছে। এনিয়ে গ্রাম সভায় উপস্থিত ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখান। সেখানে থাকা টেবিল চেয়ার ভাঙচুর করে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের কর্মীদের আটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে দিনহাটা থানার পুলিস পৌঁছে বাসিন্দাদের বুঝিয়ে অফিসের তালা খুলে কর্মীদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। 


    এবিষয়ে কোচবিহারের অতিরিক্ত জেলাশাসক সৌমেন দত্ত বলেন, আবাসের নাম নিয়ে দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে একটু গন্ডগোল হয়েছে। কিন্তু আমাদের তো কিছু করার নেই। যোগ্যদের নাম তালিকায় এসেছে। বাসিন্দাদের বুঝিয়ে বলার পর বিষয়টি মিটে গিয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)