• গাড়ির এয়ার ফিল্টারে সোনা পাচারের চেষ্টা
    বর্তমান | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: পুলিসের চোখে ধুলো দিতে সোনা পাচারে নতুন ছক কষেছিল পাচারকারীরা। গাড়ির এয়ার ফিল্টারে গোপন চেম্বার বানিয়ে সেখানে সোনা পাচারের চেষ্টা করেছিল পাচারকারীরা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। বিহারে সোনা পাচারের এই পরিকল্পনা ভেস্তে দিল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তর (ডিআরআই)। কোটি টাকার বেশি মূল্যের সোনা সহ দুই পাচারকারী ধরা পড়ে। ধৃতদের নাম মহেশ চৌধুরী এবং জেঠ মোহন বসাক। দু’জনই বিহারের কিষানগঞ্জের বাসিন্দা। 


    শিলিগুড়িকে করিডর করে সোনা পাচারচক্র দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। অতীতে বহুবার বাংলাদেশ, মায়ানমার থেকে অসম হয়ে সোনা শিলিগুড়ির উপর দিয়ে বিহার, মুম্বই, কলকাতায় পাচারের পথে পাচারকারীরা ধরা পড়েছে। এবারও একই রুটে বিহারে সোনা পাচারের পরিকল্পনা ছিল। ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে কোচবিহার-শিলিগুড়ি হয়ে বিহারে সোনা পাচারের পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের। এই সোনা পাচারের জন্য কোচবিহারে মহেশ ও জেঠ মোহনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেখানে তারা গাড়ির এয়ার ফিল্টারে তৈরি বিশেষ চেম্বারে ওই সোনা নিয়ে বিহারের উদ্দেশে রওনা দেয়।


    সূত্রে ডিআরআইয়ের কাছে এই খবর পৌঁছয়। সেই মতো ডিআরআইয়ের  শিলিগুড়ি শাখার গোয়েন্দারা সোনা সহ পাচারকারীদের ধরতে  অভিযানে নামে। জলপাইগুড়িতে ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের হুসলুরডাঙা টোল প্লাজার কাছে একটি  চারচাকা গাড়ি দেখে সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের। তারা গাড়িটি দাঁড় করায়। তল্লাশি চালাতেই এয়ার ফিল্টারে তৈরি বিশেষ চেম্বার থেকে ১৩টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। গাড়িতে থাকা দু’জনের কাছে ওই সোনার বৈধ কোনও নথি ছিল না। তারপরই ওই দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।শনিবার ডিআরআই ধৃতদের শিলিগুড়ি আদালতে তোলে। ডিআরআইয়ের আইনজীবী রতন বণিক বলেন, শুক্রবার হুসলুরডাঙা টোল প্লাজার কাছে অভিযান চালিয়ে বিদেশি সোনা সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে ডিআরআই। তাদের কাছ থেকে ১৩টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে। যার মোট ওজন এক কেজিরও বেশি। উদ্ধার হওয়া সোনার বাজারমূল্য ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা। এদিন ধৃত দু’জনকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হলে তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
  • Link to this news (বর্তমান)