• মমতার রাজ্য বলেই বিক্ষোভের জায়গা মিলেছে, ‘জাস্টিস’ নিয়ে মন্তব্য কাফিলের
    বর্তমান | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর পর প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছিলেন ডাঃ কাফিল খান। ফলস্বরূপ শাস্তির খাঁড়া নামিয়ে এনেছিল যোগী আদিত্যনাথের গেরুয়া সরকার। সেই কাফিল খান শনিবার কলকাতায় এসে বুঝিয়ে দিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য বলেই আর জি কর-কাণ্ডে প্রবল বিক্ষোভ-প্রতিবাদের সুযোগ মিলেছে। উত্তরপ্রদেশ হলে প্রতিবাদীদের মেরে জেলে ভরে দেওয়া হতো। দেশ বাঁচাও মঞ্চের গণকনভেনশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন তিনি। আর জি করের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেখানে যা ঘটেছে, তা মর্মান্তিক। তবে তা নিয়ে প্রতিবাদ হয়েছে। প্রতিবাদীদের কথা শোনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ঘণ্টা দু’য়েক অপেক্ষা করেছিলেন। উত্তরপ্রদেশ হলে প্রতিবাদীদের মেরে জেলে ভরা হতো।’ 


    রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। কাফিলের বক্তব্য, ‘এই কার্ডে বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং ওষুধের যেভাবে সর্বোচ্চ মূল্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তা খুবই জরুরি। তা না হলে কর্পোরেট হাসপাতালগুলি লুট চালাবে।’ পশ্চিমবঙ্গের টিকাকরণ কর্মসূচি, প্রসূতিদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের পরিকাঠামো উত্তরপ্রদেশ সহ দেশের অন্যান্য অনেক রাজ্যের চেয়ে উন্নত বলেই মনে করেন তিনি। সাকেত গোখলের মতো প্রতিশ্রুতিমান তথ্য অধিকার কর্মীকে রাজ্যসভায় পাঠানোর জন্য তৃণমূলকে ধন্যবাদ জানান। গোরক্ষপুর হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর ঘটনা চাপা দেওয়ার জন্য তাঁকে যেভাবে ‘বলির পাঁঠা’ করেছিল যোগী সরকার, সেই অকথ্য অত্যাচারের প্রসঙ্গ ফিরে ফিরে এসেছে তাঁর বক্তব্যে।
  • Link to this news (বর্তমান)