• আইপিএস কর্তার হয়ে মোটা টাকার ‘আবদার’ সাসপেন্ড ডিসিপির আপ্ত সহায়ক
    বর্তমান | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কলকাতা পুলিসের ডিসি (ইএসডি) গৌরব লালের আপ্ত সহায়ককে (সিএ) সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিস কমিশনারের নির্দেশেই ডিসি (ইএসডি) গৌরব লালই তাঁকে সাসপেন্ড করেছেন বলে লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, এক আইপিএস অফিসারের হয়ে ফোনে ফুলবাগানের বেসরকারি সংস্থার কাছে মোটা টাকা দেওয়ার ‘আবদার’ করেছিলেন  এসআই পদমর্যদার ওই সিএ। তবে অভিযুক্ত সিএ কলকাতা পুলিসের কোন আইপিএস অফিসারের হয়ে এই অন্যায় আবদার করেছিলেন, তা অবশ্য জানা যায়নি। কারণ কলকাতা পুলিসে অন্তত ২৫ জন আইপিএস অফিসার রয়েছেন।  এনিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে কলকাতা পুলিসের ডিসি (ইএসডি) গৌরব লালকে ফোন করা হলে, তিনি  বলেন, ‘এটা কলকাতা পুলিসের ইন্টারন্যাল বিষয়।  বলা সম্ভব নয়’— ফোন কেটে দেন।   


    কলকাতা পুলিসের এক সূত্র জানাচ্ছেন, সিএ’র কাছ থেকে আসা ফোনে ‘আবদার’এর অঙ্কটা শুনে বেসরকারি সংস্থা সরাসরি কলকাতার পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মার দ্বারস্থ হয়েছিল। অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমান্য নথি হিসেবে বেসরকারি সংস্থাটি সিপিকে ফোন-কলের রেকর্ডিং শোনান। কলকাতা পুলিসের একজন কর্মীর নাম অনৈতিক কাজে জড়িয়ে যাওয়ায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন সিপি মনোজ ভার্মা। এহেন অন্যায় আবদারের জেরে ক্ষুব্ধ সিপি ডিসিকে (ইএসডি) ওই সিএ’কে সাসপেন্ড করতে নির্দেশ দেন বলে জানা গিয়েছে। তারপরই (ইএসডি) তাঁর সিএ’কে সাসপেন্ড করেছেন।  


    সাম্প্রতিক অতীতে ২০২২ সালে গোড়ার দিকে, এই ডিভিশনের ওসিদের কাছে এক আইপিএস অফিসারের এজেন্ট হিসেবে ‘অন্যায় আব্দার’ করেছিলেন শহরের এক প্রোমোটার। ক্ষুব্ধ এক ওসির সেবার বিষয়টি সিপির নজরে আনেন। লালবাজারের শীর্ষস্তর ওই আইপিএসকে কার্যত সতর্ক করে ছে঩ড়ে দেন।  কিন্তু কোনও এক রহস্যজনক কারণে, পরে  বদলি হতে হয় অভিযোগ জানানো সেই ওসিকে। 


    সাসপেনশনের বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে অভিযুক্ত কলকাতা পুলিসের অভিযুক্ত  সিএ  তাপস সরকারকে ফোন করা হলে, প্রশ্ন শোনার পর তিনি বলেন, ‘আপনি ভুল লোককে ফোন করেছেন।’ পরে অবশ্য তাঁর দ্বিতীয় মোবাইলে ফোন করা হলে, তিনি আর ফোন ধরেননি। 
  • Link to this news (বর্তমান)