২০১২ সালের রাজ্যের বড় ও জেলা হাসপাতালগুলিতে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান বা ফেয়ার প্রাইস মেডিশিন শপ চালু হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। আবারও এনিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। বর্তমান পত্রিকার খবর অনুযায়ী, এবার রাজ্যের ৩৪৭টি ব্লক এবং গ্রামীণ হাসপাতালেও চালু হবে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান। সব মিলিয়ে রাজ্যে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানের সংখ্যা বেড়ে হবে ৪৬০টিরও বেশি। চালু হলে, ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান থেকে কমপক্ষে ১৪০টি ওষুধ সুলভ মূল্যে কেনা যাবে।
জানা গিয়েছে, ন্যায্য মূল্যের দোকানগুলিতে অন্তত ৫০ শতাংশ ছাড়ে ওষুধ পাবেন রোগীরা। সর্বোচ্চ প্রায় ৮৬ শতাংশ ছাড়ে ওষুধ কেনা যাবে। ছাড়ের পরিমাণটা ওঠা নামা করবে ওষুধের ওপরে। ফলে উপকৃত হবেন বাংলার কোটি কোটি মানুষ।
বাংলায় বর্তমানে মেডিক্যাল কলেজ, জেলা, মহকুমা, স্টেট জেনারেল ও কয়েকটি গ্রামীণ হাসপাতাল মিলিয়ে ১১৭টি ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান আছে। বিভিন্ন বেসরকারি ওষুধের দোকান সেগুলি চালায়। সরকারিভাবে টেন্ডার ডেকে বেসরকারি সংস্থাকে এই দোকানগুলি চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এবার সমস্ত ব্লক ও গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতেও সস্তার ওষুধের দোকান চাল হবে। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, রাজ্যের সব ব্লক হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান হবে। টেন্ডার ডাকা হবে দ্রুত।