সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এসএসএফ-এর দুই কোম্পানিকে এসটিএফের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তার আগে অবশ্য এনএসজি কমান্ডো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলেও সূত্রের দাবি।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুলিশের আওতাধীন এলাকায় কোনও ধরনের জঙ্গিহানা মোকাবিলা করার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কমান্ডো বাহিনী আছে। কিন্তু জেলাগুলিতে তেমন বাহিনী নেই। অথচ জেলা শহরগুলিতে শপিং মল, বড় মাপের হোটেল, রেস্তরাঁ, তৈরি হয়েছে। তাই শুধু কলকাতা নয়, জেলাগুলিতেও জঙ্গি হানার আশঙ্কা আছে বলে মনে করছেন পুলিশকর্তারা। তাই কমান্ডো বাহিনী প্রয়োজন বলেও তাঁদের দাবি।
পুলিশ সূত্রের খবর, জঙ্গি, মাদক, সংগঠিত অপরাধ দমনের জন্য এবং তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার জন্য এসটিএফ গঠন করা হয়েছিল। তদন্তের পাশাপাশি জঙ্গি দমন অভিযানের দায়িত্বও তাদের আছে। বস্তুত, কোথাও জঙ্গি হানা হলে সবার আগে এসটিএফের পৌঁছনোর কথা (ফার্স্ট রেসপন্ডার)। সংগঠিত অপরাধচক্রের বিরুদ্ধেও এসটিএফ অভিযান করে। উল্লেখ্য, বছর তিনেক আগে নিউ টাউনের একটি আবাসনে পঞ্জাবের দুই গ্যাংস্টার জয়পাল সিং ভুল্লার ও যশপ্রীত সিংহ লুকিয়ে ছিল। এসটিএফের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মারা যায় তারা। দুষ্কৃতীদের গুলিতে আহত হন এসটিএফের ইন্সপেক্টর কার্তিকমোহন ঘোষ।
পুলিশকর্তাদের বক্তব্য, জঙ্গি দমন বা কুখ্যাত দুষ্কৃতীদলের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযানে প্রশিক্ষিত কমান্ডো বাহিনী প্রয়োজন। এই ধরনের অভিযানের জন্যই রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের অধীনে এসএসএফ তৈরি করা হয়েছিল। প্রয়োজনে ‘গোপন’ অভিযানেও পাঠানো যেতে পারে এই বাহিনীকে। তবে দক্ষতা যাতে আরও বেশি হয় তাই এনএসজি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এসটিএফেরকমান্ডো বাহিনীকে।