আদালতের খবর, ২০১৮ সালে সঞ্জিতকুমার রাম-সহ তিন ছাত্রকে বহিষ্কার করেছিলেন শ্রীরামপুর কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করেছিলেন তাঁরা। ওই ছাত্রেরা একটি নথি দাখিল করে দাবি করেন যে তাঁদের তিন বছরের জন্য সাসপেন্ড করাহয়েছিল। সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় কলেজে ফের ঢোকার অনুমতি চান তাঁরা।
আদালতে এই মামলায় শ্রীরামপুর কলেজের আইনজীবী অমিতাভ চৌধুরী জানান, তিন বছরের জন্য সাসপেন্ড নয়, ওই তিন জনকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। মামলাকারীদের নথির সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। আদালত এ ব্যাপারে কলেজের নথি তলব করলে কলেজে সংরক্ষিত শাস্তি সংক্রান্ত নথির প্রতিলিপি জমা দেন আইনজীবী। অমিতাভ পরে জানান, অন্য এক ছাত্রকে তিন বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল।সেই নথির উপরে কারচুপি করে নিজেদের নাম বসিয়ে তা কোর্টে জমা দিয়েছিলেন মামলাকারীরা। কলেজের জমা দেওয়া নথির বিপক্ষে মামলাকারীদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কোনও বক্তব্য কোর্টে জমা দেননি।
এই মামলায় বিচারপতি সামন্তের পর্যবেক্ষণ, মামলাকারীরা নিজেদের অনুকূলে রায় পেতে অন্য এক ছাত্রের নথি জমা দিয়েছিলেন। এই কাজ কোনও মতেই মেনেনেওয়া সম্ভব নয়।