পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার বন্ধুদের সঙ্গে চড়ুইভাতিতে গিয়েছিল সাগর। সেখান থেকে রাতে বা়ড়ি ফেরে। ‘ফ্রি ফায়ার’ নামক একটি মোবাইল গেমে আসক্ত ছিল সে। চড়ুইভাতি সেরে বাড়ি ফেরার পর অনেক রাত পর্যন্ত সাগর ওই গেম খেলেছিল। তার পর সকালে ঘর থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, বাড়িতে কোনও অশান্তি হয়নি। হয়তো মোবাইল গেম খেলা নিয়েই বন্ধুদের সঙ্গে কিছু হয়েছে।
মৃতের বাবা নীলরতন হালদার বলেন, ‘‘ছেলে বেশ কিছু দিন ধরে মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে পড়েছিল। আমরা কিছু বলতে গেলেই রেগে যেত। তাই ইদানীং কিছু বলতাম না। তবে এমনটা হবে ভাবতেও পারছি না।’’
কিশোর কেন আত্মহত্যা করলেন, তা নিয়ে খানিক ধোঁয়াশায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা হচ্ছে, সাগর কোনও মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কি না। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তার বন্ধুদেরও।