পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম কিরণ শেখ। বছর আঠারোর তরুণের বাড়ি সালারের কাজিপাড়া এলাকায়। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বাড়ির অজান্তে বিয়ে করেছিলেন ওই তরুণ। বাড়ির কেউ বিয়ে মানতে চাননি। তার পর আর বাড়ি যাননি কিরণ। শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যুসংবাদ পায় পরিবার। স্থানীয় সূত্রে খবর, যে তরুণীকে কিরণ বিয়ে করেছেন, তিনি একই এলাকার বাসিন্দা। আগে দুটি বিয়ে হয়েছিল সেই তরুণীর। দ্বিতীয় বার বিবাহ-বিচ্ছেদের পরে বাপের বাড়িতেই থাকতেন তিনি। কিরণ তাঁকে প্রেম নিবেদন করেছিলেন। এবং গত মঙ্গলবার তাঁরা বিয়ে করেন।
কিন্তু ছেলের ওই বিয়ে মানতে চায়নি পরিবার। অগত্যা বাড়ির বাইরেই ছিলেন যুবক। সেই মানসিক চাপে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করছে পুলিশ। মৃতের মা রেজিনা বিবির দাবি, ‘‘ওই মেয়েটির এর আগে দুটো বিয়ে হয়েছিল। সে জন্য আমি ছেলের সঙ্গে ওই মেয়েটির বিয়ে মেনে নিতে পারিনি।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কিরণ তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০মিটার দূরে পূর্ব রেলের কাটোয়া-আজিমগঞ্জ রেললাইনে চলে গিয়েছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ সেখানকার ১ নম্বর লেভেল ক্রসিংয়ের কাছে আপ ১৩০৬৩ বালুরঘাট এক্সপ্রেসের সামনে ঝাঁপ দেন। পরে রেলপুলিশ তাঁর দেহ উদ্ধার করে। দেহ চিহ্নিত হলে পরিবারে খবর দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে।