স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার ওকরাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস প্রাঙ্গণে ‘বিশেষ’ গ্রামসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে আলোচনার বিষয় ছিল বাংলার আবাস যোজনা। কিন্তু আলোচনার শুরুতেই ছন্দপতন হয়। অভিযোগ, কয়েক জন গ্রামবাসী আবাসের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। কিছু ক্ষণের মধ্যে শুরু হয় ভাঙচুর। পঞ্চায়েতের আসবাব ভাঙা হয়। প্লাস্টিকের চেয়ার-টেবিল ছুড়ে ছুড়ে ফেলা হয় যত্রতত্র। মুহূর্তেই ভন্ডুল হয়ে যায় সভা। কয়েক জন সরকারি আধিকারিককে পঞ্চায়েত অফিসে আটকে রাখা হয়।
ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পার্শ্ববর্তী গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে যেখানে ১২০০ থেকে ১৩০০ পরিবারের নাম রয়েছে আবাস যোজনার তালিকায়, সেখানে ওকরাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মাত্র ৬০০ পরিবারের নাম উঠেছে। এক একটি গ্রামে ১০০ পরিবার থাকে। আবাসের তালিকায় নাম উঠেছে গড়ে একটি বা দুটি পরিবারের। বঞ্চনার অভিযোগে শুরু হয় বিক্ষোভ এবং ভাঙচুর।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ভীত সরকারি আধিকারিকেরা। দিনহাটা-১ ব্লকের ব্লক ওয়েলফেয়ার অফিসার রণজয় রায় বলেন, ‘‘গ্রামসভায় যোগদানের জন্য বিডিও অফিস থেকে এসেছিলাম। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে কিছু অভিযোগ ছিল। সেটা নিয়ে আলোচনাও হচ্ছিল। কয়েক জন অভিযোগ করেন, অনেক কম সংখ্যক মানুষ আবাস পাচ্ছেন। সেটাই তাঁদের অসন্তোষের কারণ এবং সেই কারণেই অশান্তি হয়েছে।’’ রণজয় আরও বলেন, ‘‘আমি ব্লক ওয়েলফেয়ার অফিসার, আমাকে আটকে রাখা হয়েছিল।’’ এ নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মোন্নাৎ হোসেন বলেন, ‘‘ওকরাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে বাংলার আবাস যোজনার সার্ভের কাজ শেষ হয়েছে। আজ (রবিবার) গ্রামসভা ছিল। সেখানে এসে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান একটি গ্রামে ১০০ থেকে ১৫০ বাড়ি সার্ভে করার পর মাত্র একটা বা দুটো পরিবারের নাম উঠেছে। তাতেই উত্তেজনা ছড়ায়। আমরা আবার আলোচনায় বসব।’’