নবান্নের একটি সূত্র জানাচ্ছে, অর্থ-সহ রাজ্যে মোট ১৭টি দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের এই বৈঠকে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দফতরের মন্ত্রীদেরও উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মথুরাপুরের সাংসদ বাপী হালদার, রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নীলিমা মিস্ত্রি-সহ অন্যান্যদের। নবান্নের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মঙ্গলবার প্রস্তুতিপর্ব খতিয়ে দেখতে বৈঠক ডাকা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তারও মাস দুয়েক আগে থাকতে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীকে সাগরদ্বীপে গিয়ে মেলার প্রস্তুতি শুরু করতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।’’
উল্লেখ্য, গঙ্গাসাগর মেলার বড় অংশের দায়িত্ব থাকে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের হাতে। এ ছাড়াও, সেচ, বিদ্যুৎ, খাদ্য, বিপর্যয় মোকাবিলা, পূর্ত ও পঞ্চায়েতের মতো দফতরগুলিকেও কাজে লাগানো হয়। কলকাতা থেকে পুণ্যার্থীদের গঙ্গাসাগর মেলায় পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে থাকে পরিবহণ দফতর। মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীও সাগরদ্বীপে গিয়ে নিজের দফতরের প্রস্তুতি দেখে এসেছেন। মনে করা হচ্ছে, সাগরমেলার প্রস্তুতি নিয়ে মন্ত্রী ও আধিকারিকদের মেলার প্রস্তুতি প্রসঙ্গে বৈঠকে প্রশ্ন করতে পারেন মমতা।