১ জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে দিয়ে। রাজ্য সঙ্গীত দিয়ে কর্মসূচি শুরু হলেও ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২৫-এর প্রতিষ্ঠাদিবস রাজনৈতিকভাবে বিশেষ গুরুত্ব পেতে চলেছে। এই বছরকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। দলের সাংগঠনিক ঘাটতিকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের সিংহভাগ মানুষের মন পেতে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হবে নাগরিক পরিষেবার ওপর। এবিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের কাজের দায়িত্ব বাড়ানো হবে বলে সূত্রের খবর।
দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জানুয়ারি মাস জুড়ে জেলায় জেলায় একটি কর্মসূচির তালিকা পাঠানো হয়েছে দলের নেতাদের। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অরূপ বিশ্বাস, সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারদের স্বাক্ষর করা তৃণমূল ভবনের সেই কর্মসূচিতে বলা হয়েছে, সব অনুষ্ঠানের শুরুতে রাজ্য সঙ্গীত ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল…।’ এবং অনুষ্ঠানের শেষে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে হবে।
এছাড়া ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা দিবসে দলীয় পতাকা উত্তোলন, মনীষীদের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন, বিশিষ্টজনদের সম্মানিত করা, বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী, ২৩ জানুয়ারি নেতাজি জন্মজয়ন্তী, ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবস, ৩০ জানুয়ারি মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণ দিবসে কর্মসূচি পালনের কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি কর্মসূচি দলের সব নেতা-কর্মীকে একত্র করে সাধারণ মানুষকে শামিল করার উদ্যোগ নিতে বলেছে তৃণমূলের হাই কমান্ড। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সামাজিক প্রকল্পগুলির প্রচারের বার্তা দিয়েছে তৃণমূল।