সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: কালিম্পংকে হারানোর পর এবার দার্জিলিংয়ের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে পুরুলিয়ার শীত, হারিয়ে দিল গ্যাংটকেও। বলা যায়, দার্জিলিংয়ের সর্বনিম্ন আর পুরুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় এক। ছুটির রবিবারে পুরুলিয়ার সর্বনিম্ন ছিল ৫.৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। দার্জিলিং ছিল ৫.৬ ডিগ্রি। এদিন গ্যাংটকের সর্বনিম্ন ছিল ৬.৯।
শৈলশহর দার্জিলিংয়ের সঙ্গে পুরুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ঘরে নেমে যাওয়ায় জঙ্গলমহলের এই জেলা একেবারে জবুথবু। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য বলছে, বড়দিনের ১০ দিন আগে পুরুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাঁচের ঘরে নেমে যাওয়ার সাম্প্রতিককালে উদাহরণ নেই। তাই প্রকৃতির সঙ্গে ঠান্ডা উপভোগ করতে বড়দিনের আগে উইকএন্ডেও এই জেলায় ভিড় উপচে পড়ছে। পুরুলিয়ার সব পর্যটন কেন্দ্রের অতিথি আবাস, কটেজ, রিসর্ট হাউস ভর্তি।
এদিন পুরুলিয়ার পাশের জেলা বাঁকুড়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৫। এই মরশুমে এই প্রথম বাঁকুড়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০-এর নীচে নামল। এদিন পুরুলিয়া-বাঁকুড়া দুই জেলাতেই ছিল এই মরশুমের শীতলতম দিন। এদিকে শনিবার রাতে আগুন পোহাতে গিয়ে রবিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঝালদায় মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধার। তাঁর নাম শান্তিবালা বৈষ্ণব। বাড়ি ঝালদার আনন্দবাজার এলাকায়। ওই বৃদ্ধা হাত-পা গরম করার জন্য আগুন পোহাচ্ছিলেন। সেই সময় অসাবধানবশত ওই বৃদ্ধার চাদর ও শাড়িতে আগুন লেগে যায়। বাড়ির লোকজন দেখতে পেয়ে আগুন নিভিয়ে তাঁকে ঝালদা এক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। রবিবার সেখানেই মৃত্যু হয় তার।