• ছুটির দিনে বইমেলায় উপচে পড়া ভিড়
    বর্তমান | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: রবিবার দুপুর থেকেই বইমেলা প্রাঙ্গণে জমল ভিড়। এই শীতের রোদ গায়ে মেখে দুপুর থেকেই বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানে হাজির আট থেকে আশি। বেশ কিছু প্রকাশনী সংস্থার স্টলে বই দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানেও ভিড়। বিকেলের দিকেই কিছু কিছু স্টলে এমন ভিড় হয়েছে যে, অনেককেই বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ইংরেজি বইয়ের স্টলগুলিতে এদিন বিকেল থেকেই ভিড় জমায় বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়ারা। রবিবার হওয়ায় অনেক বিদ্যালয়ের তরফে বাসে করে পড়ুয়াদের মেলায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিকেলের পড়ন্ত আলোয় মাঠের সবুজ ঘাসের উপরে বসে সময় কাটান অনেকেই। অনেকেই নতুন বই কিনে মাঠে বসেই পাতা উল্টোতে থাকেন। 


    দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া অরিত্র রায়চৌধুরী বলেন, এর আগেও একদিন মেলায় এসেছি, তবে আজ স্কুলের বন্ধু-বান্ধব আর টিচারদের সঙ্গে মেলায় ঘুরতে পেরে খুব ভালো লাগছে। বেশ কিছু রেফারেন্স বই কিনেছি। কয়েকটি নভেল কিনব। 


    বহরমপুরের বাসিন্দা তথা এক সরকারি অফিসের আধিকারিক মিঠুন সাহা বলেন, বাচ্চার নিয়ে মেলায় এসেছি। শনিবারেও একবার ঘুরে গিয়েছি। বেশ কিছু বই কিনেছি। তবে আজ সময় নিয়ে বই দেখব। প্রতিবছর এই মেলা থেকেই যাবতীয় বই কেনার চেষ্টা করি। নৈর্ঋত প্রকাশনীর স্টলে বেশ কয়েকটি নতুন বই পেলাম। যেগুলি কেনার জন্য অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করলাম। ফরাক্কার এক কলেজের অধ্যাপক সমিত মণ্ডল বলেন, ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে মেলায় এসেছি। আমাদের পছন্দ আলাদা আলাদা। তাই প্রতিটি স্টল ঘুরে বই দেখছি। বাচ্চাদের জন্য প্রথমেই বই কিনে নিয়েছি। এবার নিজেদের জন্য উপন্যাস ও ক্রাইম থ্রিলার কিনব। 


    বই বিক্রেতা রুকবানুর হক বলেন, আমরা মাত্র কয়েকটি জেলায় বইয়ের স্টল দিই। মুর্শিদাবাদের বইমেলায় প্রতিবছর প্রচুর বই বিক্রি হয়। প্রথম দিন বিক্রি একটু কম হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় দিন থেকে আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে। বেশ কিছু লেখকের বই আমাদের শেষ হয়ে গিয়েছে। ফের সেগুলি আনতে হচ্ছে। চা ও কফি বিক্রেতা ইলিয়াস শেখ বলেন, কয়েকদিন ধরে ভালো ঠান্ডা পড়েছে। সন্ধ্যা নামতেই আমাদের বিক্রি বাড়ছে। তবে এখন অধিকাংশই চিনি ছাড়া চা বা কফি চাইছেন। আমাদেরও সেইমতো প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হয়েছে। এবার বইমেলায় প্রতিদিনই ভিড় হচ্ছে। আমরা খুশি। 


    মেলার একপাশে স্টল দিয়েছেন মহিলারা। সেখানে নানা স্বাদের পিঠে বিক্রি হচ্ছে। এক বিক্রেতা বলেন, এতটা বিক্রি হবে আশা করিনি। সন্ধের পর, বিশেষত ছুটির দিন আমরা পিঠে দিয়ে পরিবেশন করে পারছি না। শনি এবং রবিবার দু’ দিন ভালোই বিক্রি হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)