• পলিথিনের ছাউনিতে দিন কাটে, তবুও আবাস থেকে বঞ্চিত বৃদ্ধা   
    বর্তমান | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: নীচে খসে পড়ছে দেওয়ালের অংশ। পলিথিনের জোড়াতাপ্পি দেওয়া ছাউনিও নড়বড়ে। ঘরে শুয়ে চাঁদ, সূর্য দেখতে পান চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের আশ্রমপাড়ার ষাটোর্ধ্ব বিধবা ঊর্মিলা দাস। তাঁর আক্ষেপ, আর কত গরিব হলে সরকারি ঘর মিলবে। 


    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একছেলেকে নিয়ে কোনওরকমে দিনগুজরান হয় ঊর্মিলার। ছেলে পেশায় টোটোচালক। টোটোর চাকা ঘুরলে তবেই আহার জোটে। পরিবারের দাবি, রাজ্য সরকার গরিবদের জন্য পাকা ঘর দিচ্ছে। কিন্তু আমরা কেন বঞ্চিত। তাদের কথায়, গত সাত বছরে একাধিকবার এলাকার জনপ্রতিনিধিরা ঘর পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। বারবার ব্লক অফিসে আবেদন করেও এবারের আবাস তালিকায় নাম নেই। কয়েকবছর আগে তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা ঘর দেওয়ার বদলে কাটমানির দাবি করেছিলেন। সেই টাকা না দেওয়ায় তালিকায় নাম আসেনি বলে অভিযোগ ঊর্মিলার। যদিও তিনি নির্দিষ্ট কারও নাম বলতে চাননি। 


    বঞ্চিত ঊর্মিলার সংযোজন, বর্ষায় শোওয়ার ঘরে জল পড়ে। পোশাক ও অন্যান্য আসবাবপত্র বস্তায় ভরে রাখি। ঘর মেরামত করার টাকাও জুটছে না। কোনওরকমে ছাউনিতে পলিথিনের জোড়াতাপ্পি দিয়ে দিন কাটাচ্ছি। সরকার আমাদের দিকে চেয়ে দেখুক। চাঁচল ১ এর যুগ্ম বিডিও শ্যামল দাস বলেন, যাঁদের আবাস তালিকায় নাম নেই, অথচ নিজেকে যোগ্য বলে দাবি করছেন, তাঁরা ব্লক অফিসে আবেদন করতে পারেন।


    তৃণমূলের স্থানীয় চাঁচল ১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অঙ্কুর পোদ্দার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার গরিব মানুষদের সঙ্গে বঞ্চনা করেছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা করেননি। লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষের মাথায় পাকা ছাদ দিতে উদ্যোগী হয়েছেন। ঊর্মিলা দেবী আবাস পাওয়ার যোগ্য। বিষয়টি নিয়ে ব্লক অফিসে আলোচনা করব। চাঁচল বিধানসভা বিজেপির ৫ মণ্ডল সভাপতি প্রসেনজিৎ শর্মার কথায়, তৃণমূল নেতাদের কাটমানির দাবিতে যোগ্যরা বঞ্চিত হচ্ছে। এইরকম বহু উদারণ রয়েছে চাঁচলে। প্রশাসন পদক্ষেপ করুক।
  • Link to this news (বর্তমান)