• হিলি সীমান্তের গা ঘেঁষেই বিশাল গর্ত করে বালি পাচার
    বর্তমান | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বালুরঘাট: খুঁড়লেই বালি। তাই ভূমি দপ্তরের অনুমতি না নিয়ে  প্রকাশ্য দিবালোকে বড় বড় গর্ত করে চুরি হচ্ছে বালি। হিলি সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার একদম পাশে বড় বড় এমন গর্ত করায় সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।


    অভিযোগ, হিলি ব্লকের জামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরাপুর, লকমা এলাকায় কয়েক বছর ধরে জমি খনন করে বালি তোলার কারবার চালাচ্ছে মাফিয়ারা। এই বালি নির্মাণ কাজে ঢালাইয়ে ব্যবহার না হলেও রাস্তা তৈরি, মেঝের নীচে দেওয়া, গর্ত ভরাটের কাজে ব্যবহার হয়। বিনা ব্যয়ে মুনাফা লুটতে তাই মাফিয়ারা আর্থমুভার দিয়েও বড় বড় গর্ত করে বালি তুলছে। সেখান থেকে ট্রাক্টরে করে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। 


    এতদিন সীমান্তের গ্রামের জমিগুলি মাফিয়াদের নজরে থাকলেও এবার তাদের চোখ কাঁটাতার লাগোয়া সরকারি ও চাষযোগ্য জমি। কাঁটাতার থেকে ১০ মিটার দূরত্বে শ্রমিক লাগিয়ে জমি খনন করার ফলে জায়গাগুলি এখন পুকুরের আকার নিয়েছে। অভিযোগ, জল না থাকায় ঘন কুয়াশা থাকার সুযোগে গর্তগুলিতে পাচারকারীরা লুকিয়ে রাখছে নানা সামগ্রী। সময় বুঝে সেগুলি পাচার করা হচ্ছে। বিষয়টি সীমান্ত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভূমি দপ্তর কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।


    হিলি ভূমি দপ্তরের আধিকারিক দিপেশ মল্লিক বলেন, হিলিতে বিভিন্ন জায়গায় মাটি খনন করা হলে বালি ওঠে। 


    পুকুর খনন করতে হলে ভূমি দপ্তরের অনুমতি নিতে হয়। নিয়ম না মানলে জরিমানা করা হচ্ছে। সীমান্তের ধারে বড় গর্ত করে বালি তোলার অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


    জামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ও জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ কৌশিক মাহাতর কথায়, বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এনে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলব।


    স্থানীয়রা বলছেন,  হিলি কলেজের পাশে যমুনা নদীর ধারেও প্রচুর জমি খনন করে বালি তোলা হয়। তবে জামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে এই চক্র বেশি সক্রিয়। এই বালি ট্রাক্টর পিছু দু’হাজার টাকায় বিক্রি হয়। সীমান্তবর্তী এলাকায় দিনের পর দিন এমন চক্র সক্রিয় থাকলেও প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দারা।
  • Link to this news (বর্তমান)