সংবাদদাতা, চোপড়া: গত ৩০ নভেম্বর থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে চা পাতা তোলা। কিন্তু টি বোর্ডের নির্দেশিকাকে অমান্য করে চোপড়ার বিভিন্ন এলাকায় এখনও চা পাতা তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার এমনই অভিযোগ পেয়ে চোপড়া ব্লকের লালবাজার এলাকায় একটি বটলিফ ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালায় টি বোর্ড। কিন্তু বোর্ডের সদস্যরা কোনও প্রমাণ না পেয়ে চলে যান। তবে ক্ষুদ্র চা চাষিদের অভিযোগ যে মিথ্যে নয়, তার প্রমাণ মিলেছে রবিবারের সন্ধ্যাতেই। সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একটি বাগান থেকে গাড়ি সহ চা পাতা আটক করেছেন চোপড়া স্মল টি প্ল্যান্টার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সদস্যরা। ক্ষুদ্র চা চাষিদের অভিযোগ, টি বোর্ডের নির্দেশিকাকে মাথায় রেখে এবার দ্রুত চা পাতা তুলে নিতে হয়েছে। কিন্তু কিছু বড় চা বাগান, যাদের নিজস্ব কারখানা রয়েছে, তারা এখনও চা পাতা তুলছে। চা চাষিদের আক্ষেপ, পুজোর পর থেকেই কাঁচা চা পাতার দাম একেবারে তলানিতে ঠেকে। টি বোর্ড পাতা তোলার সময়সীমাও বাড়ায়নি। এতে এমনিতেই লোকসান হয়েছে চা চাষিদের। তারওপর কিছু বড় বাগান এখনও পাতা তোলায় ক্ষোভ বাড়ছে চাষিদের মধ্যে। অভিযোগ, চোপড়ার একাধিক কারখানার মালিক এখনও বাগান থেকে পাতা তুলছেন। এবং রাতে মেশিন চালাচ্ছেন। যেটা অনৈতিক। ফলে টি বোর্ডের নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষুদ্র চা চাষিরা। চোপড়া স্মল টি প্ল্যান্টার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক পার্থ ভৌমিক বলেন, ক্ষুদ্র চা চাষিদের সঙ্গে যে প্রতারণা হয়েছে, সেটা যেমন অমানবিক, তেমনি বটলিফ কারখানার একাংশ মালিক যেভাবে কাজ করছেন সেটাও অমানবিক। এখনও কেন মালিকরা চা পাতা তুলছেন? এবিষয়ে নর্থবেঙ্গল বটলিফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক নীরজ পোদ্দার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।