নির্দেশিকার অভাবে কড়া ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ প্রশাসন
বর্তমান | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: স্পষ্ট সরকারি নির্দেশিকার অভাবে চিনা রসুনে ছেয়ে গিয়েছে শিলিগুড়ির বিভিন্ন সব্জি বাজার। খালি চোখে দেশীয় ও চীনা রসুনের মধ্যে পার্থক্য করা কার্যত অসম্ভব। ফলে গৃহস্থের হেঁসেলে সহজেই ঢুকে পড়ছে এই রসুন। তবুও পুরোপুরি বিক্রি বন্ধ করতে প্রশাসনের ভূমিকা ‘শূন্য’ বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক অবধ সিংহাল বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চীনা রসুন প্রসঙ্গে জানিয়েছি। এটা রুখতে সরকারি কোনও নির্দেশিকার অপেক্ষায় রয়েছি। কারণ আমরাও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারছি না। শিলিগুড়ি মুখ্য নিয়ন্ত্রিত বাজারের সচিব অনুপম মৈত্রর মন্তব্য, চোরাপথে আসা চীনা রসুন বিক্রির অভিযোগ আসার পর জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। বিভিন্ন বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে এসেছি।, সম্প্রতি দু’টি পৃথক ঘটনায় পিকআপ ভ্যান ও রিকশ বোঝাই চীনা রসুনের বস্তা বাজেয়াপ্ত করে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। দেশীয় রসুনের থেকে আকারে অনেকটাই বড় চিনা রসুন। দেশের মাটিতে চাষ করা রসুনের গোড়া কখনও হলুদ আবার সাদা হয়। তবে এই চীনা রসুনের গোড়ার অংশ বেগুনি হয়ে থাকে। চিকিৎসকদের দাবি, এই রসুন বেশি খেলে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। ব্যবসায়ীদের একাংশ জানিয়েছেন, নেপাল সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে চীনা রসুন শিলিগুড়িতে ঢুকছে। সামান্য বাড়তি মুনাফার লোভে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। দ্রুত এই রসুনের বিক্রি বন্ধ করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত।
শিলিগুড়ি মুখ্য নিয়ন্ত্রিত বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শিব কুমার বলেন, আমরা বহুবার এই রসুন নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে নিয়ন্ত্রিত বাজার কর্তৃপক্ষ সহ একাধিক মহলে অভিযোগ জানিয়েছি। তবে বাজারে এখনও মিলছে। চম্পাসারি এসজেডিএ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মদন ভট্টাচার্যের দাবি,চীনা রসুন শিলিগুড়ি শহরের প্রতিটি বাজারেই কমবেশি পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের বাজারের ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছি।
এ প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, এই রসুন কৃত্রিম পদ্ধতিতে নানা ক্ষতিকারক রাসায়নিক প্রয়োগ করে তৈরি করা হয়। ফলে স্বাস্থ্যের ওপর কু-প্রভাব পড়ে। এই রসুন নিয়মিত খেলে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।