নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আদি গঙ্গা বা টালিনালায় পলি তোলার (ড্রেজিং) কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। জলে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে আদি গঙ্গার উপরে বিভিন্ন সেতুর দু’পাশে লোহার জাল উঁচু করে লাগানো হয়েছে। কিন্তু তাতেও দেখা দিয়েছ নতুন বিড়ম্বনা! গঙ্গায় জঞ্জাল ফেলা অনেকটা কমানো গেলেও উঁচু করে লাগানো লোহার জাল বা ব্রিজের রেলিংয়ের ফাঁকে আবর্জনা ভর্তি প্যাকেট গুঁজে রেখে চলে যাচ্ছে নাগরিকদের একাংশ। তাদের এই ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আচরণের ছবি ধরা পড়েছে কুঁদঘাট পাম্পিং স্টেশন সংলগ্ন একটি সেতুতে।
এই সেতুর একদিকে রয়েছে উকিলপাড়া, অন্যদিকে কুঁদঘাট বাজার। আদি গঙ্গার উপরে থাকা যে ব্রিজটি এই দু’টি এলাকাকে সংযুক্ত করেছে, সেটির অবস্থা এমনিতেই খারাপ। অথচ সেই সেতুই বর্তমানে ওই অঞ্চলের মানুষজনের যাতায়াতের অন্যতম অবলম্বন। বহু গাড়িও যাতায়াত করে এই পথ দিয়ে। রাস্তার অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। সেখানে দেখা গেল, সেতুর দু’পাশে লোহার জাল ও সেতুর রেলিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে আবর্জনা ভর্তি প্লাস্টিকের প্যাকেট গুঁজে রাখা হয়েছে। কার্যত গোটা সেতুটি পলিথিন প্যাকেটে ভরে উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত গুহ বলেন, ‘সব দায়িত্ব পুরসভার, তা তো হতে পারে না। নিজের এলাকাকে পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব তো নাগরিকদেরও। গোটা ব্রিজটাকে ভ্যাট বানিয়ে রেখেছে। কে কোথা থেকে আসছে, বুঝে ওঠার আগেই জঞ্জালের প্যাকেট এভাবে রেখে চলে যাচ্ছে।’ স্থানীয় ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা পুরসভার ১৩ নম্বর বরো চেয়ারম্যান রত্না শূর বলেন, ‘অত্যন্ত জঘন্য অবস্থা। জনসাধারণের একাংশের দায়িত্বজ্ঞানহীনতাই দায়ী এর জন্য। আগে ভাবতাম, আমাদের ছেলেরা (জঞ্জাল সাফাই কর্মী) ঠিক মতো কাজ করে না। এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের আচরণ দেখলে খারাপ লাগে। নিয়মিত ময়লা ফেলার গাড়ি যাচ্ছে। সেখানেই জঞ্জাল দিতে পারে। তা না করে সেতুতে লাগানো লোহার নেটে গুঁজে দিয়ে চলে যাচ্ছে। পুরকর্মীরা গিয়ে সেগুলি আবার সাফ করেন।’