• পরবর্তী প্রজন্মকে শিক্ষা দিতে পারিনি! বিজয় দিবসে কলকাতায় এসে ‘আক্ষেপ’ মুক্তিযোদ্ধার
    প্রতিদিন | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • অর্ণব আইচ: বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষে কলকাতায় এলেন ৮জন মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের একাংশের মত, পরবর্তী প্রজন্মকে হয়তো সঠিক শিক্ষা দিতে পারেননি তাঁরা। তবে একাংশ মনে করছেন, আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পরেও ভালোই আছে বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, সোমবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের এক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। তবে বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের কাউকে দেখা যায়নি ফোর্ট উইলিয়ামের অনুষ্ঠানে।

    প্রত্যেক বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করে ভারতীয় সেনা। মুক্তিযুদ্ধ শেষে পাক সেনার আত্মসমর্পণের দিনটিতে নানা অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয় ফোর্ট উইলিয়ামে। সেখানে বাংলাদেশের কূটনীতিক আধিকারিক, সেনা কর্তা থেকে শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা- সকলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর থেকে যেভাবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বেড়েছে, তার প্রভাব পড়েছে ঢাকা-নয়াদিল্লি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও। শোনা যাচ্ছিল, এবার বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের ছাড়াই বিজয় দিবস পালিত হতে পারে ফোর্ট উইলিয়ামে।

    শেষ পর্যন্ত অবশ্য ৮ জন মুক্তিযোদ্ধা কলকাতায় এসেছেন বিজয় দিবস উপলক্ষে। জানা গিয়েছে, মাল্যদান থেকে শুরু করে বিশেষ ট্যাটু অনুষ্ঠান, সবেতেই অংশ নেবেন তাঁরা। বদলে যাওয়া বাংলাদেশের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে এক মুক্তিযোদ্ধা জানালেন, হয়তো পরবর্তী প্রজন্মকে শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু গলদ থেকে গিয়েছিল তাঁদের। সেজন্যই আজ বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হয়তো সঠিক পথে নিজের সন্তানদের পরিচালনা করলে আজ এই দশা দেখতে হত না পদ্মাপাড়ের মানুষকে। তবে অন্য এক মুক্তিযোদ্ধার মতে, পালাবদল হলেও বাংলাদেশ ভালোই আছে। সেভাবে কোনও অসুবিধা নেই।

    উল্লেখ্য, প্রত্যেক বছরেই ফোর্ট উইলিয়ামে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেদেশের সেনাকর্তারাও সপরিবারে কলকাতায় এসে যোগ দেন বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে। তার পরে কলকাতায় ঘুরতে তাঁদের জন্য বিশেষ ট্যুরের ব্যবস্থাও করা হয়। এবারে মুক্তিযোদ্ধারা এলেও অন্যবারের মতোই ব্যবস্থাপনা থাকবে কিনা তা জানা যায়নি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)