এক মহিলা সাংবাদিক ‘হেনস্থা’র অভিযোগ করায় দলের সদস্যপদ থেকে প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যকে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করেথিল সিপিএম। ওই ঘটনায় দলের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি (আইসিসি) কাজ শেষ করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার সাসপেনশন তুলে নেওয়ার বার্তা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম নেতৃত্বকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের তরফে। কিন্তু সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা যে ভাবে হয়েছিল, প্রত্যাহার নিয়ে প্রকাশ্যে তেমন কোনও ঘোষণা করেনি সিপিএম। এই পরিস্থিতিতে দলের নদিয়া জেলা সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে রবিবার নবদ্বীপে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘‘এই ধরনের অভিযোগে আমাদের দলের অবস্থান খুব স্পষ্ট। তদন্ত চলাকালীন তন্ময়কে সাসপেন্ড করা হয়েছিল, তদন্ত কমিটি (আইসিসি) কাজ শেষ করায় সাসপেনশন শেষ হয়েছে। আইসিসি-র রিপোর্ট অনুযায়ী এর পরে দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী ও রাজ্য কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।’’ দলের একাংশের ব্যাখ্যা, এর ফলে কাগজে-কলমে তন্ময়কে নিয়ে অন্য কোনও পদক্ষেপের (ভর্ৎসনা বা সতর্কতা) রাস্তা খোলা থাকছে। যদিও দলেরই একাংশের প্রশ্ন, সাসপেনশন উঠে যাওয়ার পরে আবার কোনও পদক্ষেপ করলে সেটা কি ‘বাস্তবসম্মত’ হবে! তন্ময় অবশ্য এর মধ্যে নতুন বিতর্কের কিছু দেখছেন না। তাঁর মতে, ‘‘দলের যা নিয়ম, সেই অনুসারেই রাজ্য সম্পাদক যা বলার, বলেছেন। আইসিসি-র রিপোর্ট রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী ও রাজ্য কমিটিতে আলোচনা করে নেওয়াই নিয়ম।’’
প্রসঙ্গত, নদিয়া জেলা সম্মেলন থেকে সুমিত দে-র জায়গায় নতুন জেলা সম্পাদক হয়েছেন মেঘলাল শেখ। তিনি নদিয়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং জেলা সম্পাদক থাকায় সুমিতকে দলের গঠনতন্ত্র মেনেই একটি কমিটি ছাড়তে হত।